ঢাকা,বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতার বসতবাড়িতে  হামলা দোকানে তালা, স্ত্রী- দুই ছেলেকে মারধর 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ দুলালের বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, ও লুটপটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কয়েকটি দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়ে দখল করা হয়েছে। ঘটনার সময় বেদড়ক পিটিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া থানার অদুরে চকরিয়া পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল (৫৫), তার স্ত্রী রিফাত উম্মে সালমা (৪০) ও দুই ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহাল (১৮) ও নাফিজ (১৪)।
আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ দুলাল অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় ভরামুহুরি এলাকার  রফিক আহমেদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, নাজেম উদ্দিন,কফিল উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, আরিফ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন দুবৃর্ত্ত পূর্ব শত্রুতার কারণে আমার বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরেই ঢুকে অতর্কিত হামলা করে। এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে হাতে থাকা লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাকে আঘাত করে।
একপর্যায়ে তাদের আক্রমণ থেকে আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাঁরা আমার স্ত্রী, আমার দুই ছেলেকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার সময় তাঁরা আমার বাড়ির আলমিরা ভেঙে বিপুল স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাঁরা আমার দোকানেও হামলা করে কয়েকটি দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়ে দখল করেছে।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ দুলাল জানান, হামলায় আহত আমার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে স্থানীয় চকরিয়া মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়েছে।  তাদের মধ্যে আমার স্ত্রী ও এক ছেলের শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক চকরিয়া পৌরসভার স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাফর আলম কালু ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের কবল থেকে তাঁর পরিবার সদস্যদের উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছেন আমিনুর রশিদ দুলাল। এ ঘটনায় তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন

পাঠকের মতামত: