ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বিপন্ন প্রজাতির দুটি ভাল্লুক শাবক উদ্ধার

ডেস্ক নিউজ :: কক্সবাজারের চকরিয়ার দীগর পানখালী এলাকা থেকে দুটি বিপন্ন প্রজাতির ভাল্লুক শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দীপক দাস নামে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে শাবক দুটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমদানি নিষিদ্ধ বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত দীপক দাস। ইতিপূর্বে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যপ্রাণী পাচারকারী আটকের সূত্রধরে পাচারকারী দীপক দাসের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গোপন অনুসন্ধানে জানা যায় সম্প্রতি দীপক দাস দুটি বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে চোরাইপথে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী দেশ থেকে নিয়ে এসে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখে। কিছু দিন হেফাজতে রাখার পর পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। তারা সাতক্ষীরা ও যশোরের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে আমদানি বা রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণীগুলো পাচার করে।

একইভাবে আটককৃত দীপক দাসের হেফাজত হতে উদ্ধার ও জব্দকৃত ভাল্লুক শাবক দুটি বান্দরবান জেলার সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে প্রায় ১৪ দিন পূর্বে চোরাইপথে এনে হেফাজতে রাখে। কয়েক দিন পর অধিক মুনাফা নিয়ে সে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের অন্য সদস্যদের নিকট শাবক দুটি বিক্রির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। আটক দীপক দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ওই পাচারকারী চক্র সম্প্রতি আরও দুটি ভাল্লুক, দুটি উল্লুক ও ছয়টি লজ্জাবতী বানর পাচার করেছিল।

উল্লেখ, আইইউসিএন প্রধানত বনায়ন ধ্বংস ও বন্যপশু শিকারের কারণে ভাল্লুকদের সংকটাপন্ন প্রজাতি
হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশে কালো ভাল্লুক মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত এবং বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

আসামি দীপক দাসের বিরুদ্ধে কক্সবাজার চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন

পাঠকের মতামত: