ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগ-বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মতবিনিময়

সোয়েব সাঈদ ::
কক্সবাজারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রী জাহিদ মালেক এর এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে হোটেল লং বিচে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর সচিব ডঃ মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এর প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডাঃ মোমিনুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ নাসিম আহমেদ সহ সিভিল সার্জন কার্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বক্ষ্যব্যধী হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও কক্সবাজারে কর্মরত বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা-র শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য এই সভার পূর্বে অদ্য সকালে মাননীয় মন্ত্রী কক্সবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নবনির্মিত বহির্বিভাগ উদ্বোধন করেন।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, “ডাক্তাররা সর্বোচ্চ মেধাবী। তাই চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে একটু চেষ্টা করলেই স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব। তার প্রমাণ হচ্ছে কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ”। তিনি জেলায় স্বাস্থ্য খাতে সাম্প্রতিক সময়ে সকল উপজেলায় সিজারিয়ান অপারেশন চালুর উদ্যোগ, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা নর্মাল ডেলিভারি, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্ট সহ যেসব ভালো পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানান ও এসব কাজ ধরে রাখার আহবান করেন। মন্ত্রী স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা-র উদ্দেশ্যে বলেন, “রোহিংগা শরনার্থী দের প্রতি আপনাদের যেমন সহযোগীতা আছে, তেমনি বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রতিও আপনাদের দ্বায়িত্ব আছে”। সাহায্য সহযোগীতার ক্ষেত্রে বৈষম্য হলে তা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অসন্তোষ ও বিশৃংখলার কারণ হতে পারে বলে তিনি তাদের সতর্ক করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, “প্রজন্ম কে এগিয়ে নিয়ে যায় মা। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য তাই সর্বাগ্রে”। তিনি কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর নতুন বছরের প্রথম দিনে সিজার অপারেশন চালু করায় অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এমওসিএস ডাঃ ইমরুল কায়েস কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনার গত তিন মাসের বিভিন্ন অর্জন মন্ত্রী মহোদয় এর সামনে উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে সকল উপজেলায় সিজারিয়ান অপারেশন এর সুযোগ তৈরী, পেকুয়া উপজেলা ও সদর হাসপাতালে বৈকালিক ল্যাব সেবা চালু, রামু উপজেলা হাসপাতালে শিশু বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি ইনোভেশন উল্লেখযোগ্য। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিএমএ সভাপতি ডাঃ পু চ নু, পরিবার পরিকল্পনা জেলা কনসালটেন্ট ডাঃ রকিব উল্লাহ, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আইওএম, ইউএনএফপিএ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

পাঠকের মতামত: