চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম কর্তৃক দূর্নীতি করে কর্মচারীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাকে ওই সভা থেকেই বলে দেয়া হয়েছে। তাকে চকরিয়া থেকে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গতকাল ২৬মে সকালে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিলনায়তন মোহনায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চকরিয়া পেকুয়ার এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্তের কথা তাকে জানিয়ে দিয়েছেন। আগামী ১৫দিনের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষকে এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে গিয়ে উপযুক্ত প্রমানাধি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা বলা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। উপজেলা হাসপাতাল ইনচার্জ ডা. আবদুস ছালামের সঞ্চলনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাহেদুল ইসলাম, চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আবছার, চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার আলম, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, ডা. মর্তুজা বেগম (রানু), ডা. ছাবের আহমদ, ডা. তোফায়েল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি আনোয়ারুল এহেছান বুলু মিয়া, বর্ণমালা একাডেমির চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ দুলাল, বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ বশিরুল আইয়ুব, স্বাস্থ্যকর্মী মোঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ। সভায় হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৭৭জন বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে; উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এখানে কর্মরত আছেন। এ সময়ে তিনি ঘোষ, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অনৈতিক কান্ডে জড়িয়ে পড়েন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ এসবের প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে নানা অফিসিয়াল ঝামেলা। প্রতিবাদকারীকে নানাভাবে হয়রানি করে উল্টো তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়াও হয়ে থাকে। সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ফিক্সেশনের উপর প্রাপ্য টাকা থেকে চৌধুরী মোরশেদ আলম সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ৬ লাখ টাকা কেটে রেখে দিয়েছেন। যাদের প্রাপ্য ৬০হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে কেটে রেখেছেন ৩২হাজার টাকা করে। যাদের প্রাপ্য ৩০হাজার থেকে ৫০হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা করে কেটে রেখেছেন। ইনপ্লানন এর ফলোআপের টাকা ইনপ্লানন গ্রহনকারীদের না দিয়ে অফিসের পিয়ন দিয়ে ভূয়া টিপসহি প্রদান করে প্রায় ২০লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেছেন, এমন কোন আর্থিক খাত নেই যেখান থেকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম টাকা আত্মসাত করেন নাই। এভাবে চৌধুরী মোরশেদ আলম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ফিক্সেশনের উপর প্রাপ্য টাকা থেকে প্রায় ২৬লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। #
পাঠকের মতামত: