ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে চোরাই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি নিয়ে জনমনে ধুম্রজাল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে চোরাই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শামসুদ্দীন (৩৬) নামের অভিযুক্তের দাবি রশিদমুলে ক্রয় করা গরুর মাংস তিনি বিক্রি করেছেন।

শুক্রবার (২৪ জুন) ভোরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পুর্ব হাজী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঐ এলাকার জসিমের বাড়ীর পাশ থেকে গরুর নাড়িভুড়ি ও রক্তসহ নানা আলামত পাওয়া গেছে বলে জানান ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল আওয়াল।

অভিযুক্ত শামসুদ্দীন এ ঘটনার সাথে জড়িত নই দাবী করে বলেন, এলাকার কতিপয় মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি নিজেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উল্লেখ করে জানান, মুলতঃ দুটি গরু আমি ঈদগাঁও বাজার থেকে গত ২১ জুন রশিদ মুলে ক্রয় করেছি। যার রশিদ নং যথাক্রমে ২৭৭৫-২৭৭৮। তৎমধ্যে একটি গরু শুক্রবার সকালে জবাই করে বিয়ে বাড়ীতে সরবরাহ করেছি, প্রয়োজনে প্রমানসহ দেব। অপরদিকে স্থানীয় মেম্বারদের ইন্ধনে চোরাই গরু আখ্যা দিয়ে ঐ রাতে আমার বসতবাড়ীর ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে ক্রয়কৃত একটি গরু ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পুর্ব হাজীপাড়া গ্রামের শামসুদ্দীন প্রকাশ শিয়াল্ল্যা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে তার বাড়ীতে মজুদ করে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের টনক নড়ে।

শুক্রবার ভোর রাতে চোরাই গরু জবাই করে মাংস ভাগবাটোয়ারার খবর পেয়ে এলাকাবাসী তার বসতবাড়ী ঘেরাও করে। এসময় তার দলবল পালিয়ে গেলে ও পরিত্যাক্তস্থানে ফেলে যায় গরুর নাড়িভুড়ি, প্লাস্টিকের তেরপালসহ নানা সরঞ্জাম।

বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল আওয়াল ও ছৈয়দ হোছনকে জানানো হলে উভয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, শিয়াল্ল্যাসহ একটি বিশাল সিন্ডিকেট গরু চুরির সাথে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই গরু নিয়ে এসে এলাকায় বিক্রি করে বলে জানতে পেরেছি। তার এসব অপকর্ম থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। আশাকরি প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শামসুদ্দিন বলেন, রাতে আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তারা একটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে উল্টো আমাকে গরু চোর সাজানো হচ্ছে। আমি চ্যালেন্জ করলাম এসব গরু যদি চোরাই গরু বলে প্রমান দিতে পারে সমস্ত ক্ষতিপুরন ও শাস্তি ভোগ করব। চোরাই গরু তকমা দিয়ে যারা আমার গরু লুট ও বাড়ীঘর ভাংচুর করেছে তিনি তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

এদিকে খবর পেয়ে একই দিন বিকেল চকরিয়া থানা পুলিশ খুটাখালীতে গিয়ে গরু জবাইর সত্যতা পান। এসময় পুলিশ জড়িত সিন্ডিকেটের পরিচয় দ্রুত সময়ের মধ্যে থানায় প্রদানের জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন।

চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইস্রাফিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের পাইনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং তার আত্মীয়-স্বজনকে আজকে দিনের মধ্যে জড়িতদের হাজির করার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাঠকের মতামত: