লোহাগাড়া প্রতিনিধি :: লোহাগাড়ার চুনতিতে টিলা কেটে বালু বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুফিনগর বাঁশখালিয়া পাড়ার সংলগ্ন লুতু মিয়ার ঘোনায় নিঃশেষ করে দেয়া হচ্ছে একের পর এক টিলা। এতে বিনষ্ট হচ্ছে টিলায় থাকা গাছ ও সংলগ্ন রাতার ছড়ার বাঁধ।
জানা যায়, রোমেল ও দুর্জয় নামে স্থানীয় দুই প্রভাবশালী অবৈধভাবে সরকারি টিলা কেটে প্রতি গাড়ি বালু ১২-১৪শ টাকায় বিক্রি করছেন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। প্রায় ৬ মাস পূর্বে একই স্থানে টিলা কেটে বালু বিক্রির অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। জব্দ করা হয়েছিল স্তূপকৃত বালু, যা পরে নিলামে বিক্রি করা হয়। এ সময় টিলা কাটার অপরাধে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু এতে তেমন কোনো লাভ হয়নি; টিলা খেকোরা নতুনভাবে বালু ব্যবসায় মেতে উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা ভূমি অফিসের সাঁটানো ব্যানার এখনো শোভা পাচ্ছে ওই স্থানে। টিলার দিকে যাওয়ার পথে দেখা মিলে সারি সারি বালু ভর্তি ট্রাকের। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে টিলা কাটার চিহ্ন থাকলেও নেই কোনো যন্ত্রপাতি।
স্থানীয়দের মতে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে টিলা খেকোরা এখন আগের মতো বালুর স্তূপ করে না। তাৎক্ষণিক টিলা কেটে ট্রাক ভর্তি করে বালু নিয়ে যায়। তারা বলেন, দিনেরাতে বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের অবস্থা এখন বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
টিলা কেটে বালু বিক্রির কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত রোমেল জানান, শুধু আমরা নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকে টিলা কেটে বা ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, টিলা কেটে মাটি বা বালু বিক্রি করা শান্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযান চালিয়ে টিলা কাটার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত: