নিউজ ডেস্ক :: আলোচনায়র আগ্রহের বিষয়টি আর কিছু নয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে এখন ৫ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান। আর প্রায় অর্ধেক অংশের সব কাজ সম্পন্ন। সব মিলিয়ে মূল প্রকল্পের ৯০ ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বের এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল। চলছিল জোর প্রস্তুতি। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে তা পিছিয়ে যাচ্ছে আরও কিছুদিন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে নয়, ২০২২ সালে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতুটি। কোনো একটি বিশেষ দিনে এটি উদ্বোধন করা হতে পারে।
মূলত করোনা পরিস্থিতিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের সময়মতো না পাওয়া, নির্মাণসংশ্লিষ্ট দেশি শ্রমিকের অভাব এবং নদীশাসনে পিছিয়ে থাকাসহ বেশ কিছু জটিলতায় আরেক দফা পিছাচ্ছে এর নির্মাণকাজ। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
এদিকে মূল সেতুর সঙ্গে সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে ঢাকা-যশোরের এই রেলপথের বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। এমনটা হলে উদ্বোধনের দিন সেতুতে যানবাহন চললেও রেল চলাচল সম্ভব হবে না।
সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ করা আগাগী জুনে তো সম্ভব না, এমনকি ২০২১ সালেও হবে না। কবে নাগাদ এটা শেষ হবে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেতুর ঠিকাদার ও আমাদের যারা আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনা শেষে আমরা জানাব। এখানে গোপন কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রার সব জায়গায়ই আমরা পিছিয়ে। তবে ইনশাআল্লাহ ২০২২ সালে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার কারণ হিসেবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘করোনার কারণে বিদেশিদের পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দেশের শ্রমিকদেরও পাওয়া যাচ্ছে না। নদীশাসন বাকি আছে। সব মিলিয়ে পিছিয়ে আছে।’
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে ব্যয় বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে না। করোনার বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কেবল সময়সীমা বাড়বে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলো স্প্যান বসবে তাই আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি উন্মুক্ত করে দেব। দেশের অন্য বড় প্রকল্পগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো একটি বিশেষ দিনে উপহার হিসেবে উন্মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে চিন্তা ছিল কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করার। আমাদের ধারণা ছিল জুনে কাজ শেষ হলে এটি উদ্বোধন করা হবে। তবে করোনার কারণে যেহেতু কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে, পরিস্থিতি ভালো থাকলে আমরা চেষ্টা করব ২০২২ সালের মার্চে এটি উদ্বোধন করার।’
গত শুক্রবার সরেজমিন পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মার মাওয়া মোড়ে চোখে পড়ে মূল সেতুর সংযোগ সড়কের (উড়াল পথ) পিলার। এর কয়েকটিতে গার্ডার স্থাপন করা হয়েছে, কয়েকটির বাকি। ছুটির দিন হওয়ায় প্রকল্প এলাকার অধিকাংশ কাজ ছিল বন্ধ। পদ্মার শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে নদীর দিকে তাকালে পুরো সেতুর কাঠামো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেখানে ঘুরতে আসা দূর-দূরান্তের যাত্রীদের সেতুর কাঠামোর ছবি তুলতে দেখা যায়। ঘাট থেকে নদীর পাড়ের দিকে না তাকালে বোঝার উপায় নেই যে এখনো ৪টি স্প্যান স্থাপন বাকি আছে। পদ্মার মাওয়া পাড়ে দুটি ক্রেন অপেক্ষমাণ আছে পরবর্তী স্প্যানগুলো বসানোর জন্য। পাশের ডকইয়ার্ডে প্রস্তুত রয়েছে ওই ৪টি স্প্যান।
মাঝ নদীতে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর শরীয়তপুর অংশের প্রায় অর্ধেকজুড়ে রোডওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মাঝসেতুতে একটি বড় ক্রেন বসানো হয়েছে স্ল্যাব স্থাপনের জন্য। আর শরীয়তপুর অংশে একটি ক্রেন রয়েছে স্ল্যাব স্প্যানে তোলার জন্য। শরীয়তপুর অংশ থেকে আরেকটি ক্রেনে স্ল্যাব তুলে সেটি স্থাপনের জায়গায় নিয়ে এসে সংযোগ দেওয়া হয়। সেতুর যে অংশটুকুতে রোডওয়ে স্ল্যাব স্থাপন হয়েছে তার ওপরে প্রকল্পের লোকজনকে বহনকারী অটোরিকশা চলাচল করছে। মাঝনদী থেকে শরীয়তপুর অংশে তাকালে পদ্মা সেতুকে আপাতদৃষ্টিতে একটি পূর্ণাঙ্গ সেতু হিসেবে মনে হবে। সেতুর শরীয়তপুর অংশে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পাথরসহ নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে। দেখলেই মনে হয় বড় কোনো কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব নির্মাণ সামগ্রী দিয়েই তৈরি হচ্ছে রোডওয়ে স্ল্যাব। সেখানে অনেকগুলো স্ল্যাব প্রস্তুত করেও রাখা হয়েছে।
মূল সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজও প্রায় সম্পন্ন। এছাড়া মাওয়া প্রান্তে ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে টোল প্লাজা। তবে রেললাইনের কাজ কিছুটা পিছিয়ে। রাজধানীর পোস্তগোলা সেতু থেকে মাওয়া গোলচত্বর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও প্রায় শেষ। কেবলমাত্র মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু কাজ বাকি আছে। শরীয়তপুর অংশের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও শেষের দিকে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হয়। সে সময়ে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। পরে ২০১১ সালে রেললাইন সংযুক্ত করে নতুন নকশা প্রণয়ন করা হয়। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে মূল সেতুর কাজ পায় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ পায় চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। ২০১৮ সালে নির্মাণ শেষ করার শর্তে তাদের নির্মাণকাজের জন্য ২০১৪ সালে চিঠি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফা সংশোধনের পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
সেতুতে প্রথম স্প্যান বসে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। ওই দিন ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর এই স্প্যান বসানো হয়। এরপর মাওয়া প্রান্তের কয়েকটি পিলারের পাইল স্থাপনে জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া তীব্র স্রোত ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ এগোয়নি। এ পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালে ফের ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। পাইলিংসহ নানা জটিলতার কারণে ইতিমধ্যে মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌনে তিন বছর বাড়তি সময় দিয়েছে প্রকল্প কর্র্তৃপক্ষ। নদীশাসনেও ঠিকাদারকে আড়াই বছর বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
সেতুর মোট খরচের মধ্যে ১২০ কোটি ডলার বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে ব্যয় করার কথা ছিল। এছাড়া এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও এডিবির ৬০ দশমিক ১ কোটি এবং জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনে। তখন তদন্তের স্বার্থে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে সরিয়ে দেয় সরকার। তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ৩০ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, এসএনসি লাভালিন ও বেসরকারি ব্যক্তিদের মধ্যে উচ্চ স্তরের দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে তার কিছু ‘প্রমাণ’ তারা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ও ২০১২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়। এরপর সরকার অনেক দেনদরবার করেও বিশ্বব্যাংককে আর প্রকল্পে ফেরাতে পারেনি। বাধ্য হয়ে তখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে হাত দেয় সরকার। তবে শেষমেশ বিশ্বব্যাংকের করা ওই অভিযোগ কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
মূল সেতুর বর্তমান অগ্রগতি : সেতু মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নদীশাসনের কাজ হয়েছে প্রায় ৭৫ ভাগ। সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৭টি স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুতে মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৫টির বেশি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি স্ল্যাবগুলো বসানো হবে। সবগুলো স্ল্যাব বসানো হলে এর ওপর পিচ ঢাললেই যান চলাচলের জন্য মূল সেতু প্রস্তুত হবে। এছাড়া সংযোগ সড়কের সবগুলো পিলার বসানোর কাজও ইতিমধ্যে শেষ। তবে কয়েকটি পিলারে এখনো গার্ডার বসানো বাকি আছে। সংযোগ সড়কের শেষ প্রান্ত কনক্রিট ও পিচ ঢালাইয়ের মাধ্যমে মূল সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এই কাজও প্রায় শেষের দিকে।
ডিসেম্বরেই বসবে সবগুলো স্প্যান : প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর ৩৭তম স্প্যান বসানো হয়েছে। বাকি ৪টি স্প্যানের সবগুলোই বসবে মাওয়া প্রান্তে। এরমধ্যে ৩টি পদ্মার মাওয়া অংশের মূল ধারার মাঝনদীতে এবং ১টি মাওয়া প্রান্তের পাড় লাগোয়া। এগুলোর মধ্যে আগামী ১৯ অথবা ২০ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর খুঁটিতে ৩৮তম স্প্যান, ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) এবং আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৪১ নম্বর স্প্যানটি (স্প্যান ২-এফ) বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে কুয়াশা ও নদীর নাব্যের ওপর। খরস্রোতা এই নদীটির নিয়মিত গতি পরিবর্তন হয়। এজন্য নির্ধারিত দিনের কিছু হেরফের হলেও হতে পারে।
রেলওয়ে কাজের অগ্রগতি : প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী সেতু মন্ত্রণালয় কেবল মূল সেতুর রেলপথ স্থাপন করবে। ঢাকা-যশোর রেলপথের বাকি কাজ রেলওয়ে মন্ত্রণালয় করবে। পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোয় মোট ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬৪৬টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে (পিবিআরএলপি) ব্যবহারের জন্য স্টিল গার্ডারের প্রথম ব্যাচ চীনের সাংহাই থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রকল্প এলাকায় গত ২৪ অক্টোবর পৌঁছেছে। ঢাকা-যশোর রেলওয়ে প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৬৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত এই প্রকল্পে ১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার এলিভেটেড রেলওয়ে রয়েছে। প্রকল্পে ১৮১ কিলোমিটার ব্যালাস্টেড ট্র্যাক, ৩২ কিলোমিটার ব্যালাস্টবিহীন ট্র্যাক এবং ৬৩টি বড়, মাঝারি ও ছোট সেতু রয়েছে।
যে কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি : প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সংশ্লিষ্ট অনেকেই প্রকল্প এলাকায় আসেননি, বিশেষ করে বিদেশিরা। এরই মধ্যে আবার দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিদেশিদের উপস্থিতিও কমে যাচ্ছে। এছাড়া পদ্মা খরস্রোতা নদী হওয়ায় এটি শাসন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্ষায় এখানে তীব্র স্রোত ও নদীভাঙন দেখা দেয়। আবার শীত মৌসুমে কুয়াশা ও নাব্য সংকটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে নদীশাসনের কাজ সময়মতো করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া নদীশাসনের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি বুঝিয়ে দিতেও দেরি হয়েছিল। সবমিলিয়ে প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
পাঠকের মতামত: