ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সিনহা হত্যা মামলা: ৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট কাল ৭ সেপ্টেম্বর

নিউজ ডেস্ক :: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১২টি সুপারিশসহ ৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট (প্রতিবেদন) জমা হবে ৭ সেপ্টেম্বর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি স্ব-শরীরে গিয়ে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

শনিবার বিকাল ৫টায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এই তথ্য জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন এবং সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ।

তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, শেষ দফায় তদন্তের সময় বাড়িয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই নির্ধারিত দিনেই সিনহা হত্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মূলত বরখাস্ত ওসি প্রদীপের জবানবন্দি রেকর্ডকে কেন্দ্র করে বার বার সময় বাড়ানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনায় তিন দফা সময় বাড়িয়ে ৩৫ দিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত সংবলিত এই প্রতিবেদনটি প্রায় ৮০ পৃষ্ঠা হয়েছে। রয়েছে ১২টি সুপারিশ।

এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালাও প্রণয় করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

তথ্যমতে, গত ৩১ আগস্ট টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলিকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে সদস্য করা হয়েছিল, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন এবং সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি।

কিন্তু একদিন পর (৩ আগস্ট) পুনরায় ওই তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে পুনর্গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে কমিটির প্রধান করা হয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। আর সদস্য করা হয় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন এবং সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদকে।

গত ৩ আগস্ট তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করেছিল। এ সময় কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সরকার ৭ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করে দিলেও এ নিয়ে তিন দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ২৪ আগস্ট এবং পরে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

কিন্তু এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিতে আরও ৭ দিনের সময় চায় এবং তা বাড়ানো হয় ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। একপর্যায়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল।

 

পাঠকের মতামত: