অনলাইন ডেস্ক :::
পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করাসহ পাট চাষীদের প্রণোদনা ও পাট ব্যবসায়ীদের অসাধুতার জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রেখে সংসদে পাট বিল-২০১৭ পাস করা হয়েছে। পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ রহিত করে এ বিল পাশ করা হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মো. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে বিলটি কন্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন কম বা সর্বোচ্চ মূল্যের বেশি দামে পাট বা পাটজাত পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে না। পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে। সরকার পাট ও পাটজাত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, বেলিং চার্জ ও উন্নয়ন ফি আরোপ করতে পারবে। এছাড়া বিলে এজেন্ট ও ব্রোকার, প্রেস, গুদাম, ইত্যাদি অধিগ্রহণসহ সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমুহের বিষয়ে মন্ত্রী সভা বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন ক্রমে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় বিলটি আনা হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিলটি অনুমোদিত হয়।
বিল পাসের আগে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, পাটকে কৃষি পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে চাষীদের নানা ধরণের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের ৩০টি দেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী করা হচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে পাটের সেই সোনালী অতীত আবারো ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এরআগে সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন।
পাঠকের মতামত: