মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মোঃ সাদু মিয়া (৩৬) পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে শুশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সাদু মিয়া বিচার চেয়ে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করেন। সাদু মিয়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কলারঝিরি এলাকার মৃত নুরুল আলম এর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে রবিবার সাদু মিয়া লামা ব্যাংক থেকে ৬৯ হাজার ৪শত টাকা উত্তোলন করে রাতে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে শুশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে হারবাং এলাকায় পৌছালে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৩জন লোক তাকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে তার শুশুর বাড়ির লোকজন রক্ষা করে। শুশুর শাশুড়ির মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠান শেষে পরেরদিন সোমবার সকালে ফিরে আসার সময় হারবাং বাজারে পৌছালে রাতের সে ৩জন নূর মোহাম্মদ (৪০), রেজাউল করিম (৩৫) ও রনু (৩৮) তার মোটর সাইকেল গতিরোধ করে। কার অনুমতিতে এই এলাকায় এসেছে এমন কথা বলে তারা তাকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাবে বলে ইউপি মেম্বারের কাছে নিয়ে যায়। হারবাং ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার ইলিয়াছ কাজটি ঠিক হয়নি বলে তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যেতে বলে।
নূর মোহাম্মদ, রেজাউল করিম ও রনু তাকে পুলিশের কাছে না নিয়ে পার্শ্ববর্তী বেতুয়া বাজার এলাকায় সাবেক মেম্বার মৃত আবচার উদ্দিন এর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আবচার মেম্বারের ছেলে তহিদুল ইসলাম, তারেক ও রাশেদ সহ ৬জনে মিলে তার কাছ থেকে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা ছিনতাই নিয়ে নেয়। পরে কারো কাছে অভিযোগ দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোটর সাইকেল সহ তাকে ছেড়ে দেয়।
মোঃ সাদু মিয়া আরো বলেন, ছিনতাইকারী ৬জন চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান এর গ্রুপের লোকজন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে তারা টাকা ছিনতাই করেছে। এই বিষয়ে আমি লামা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ আমার অভিযোগটি গ্রহণ করেনি।
এবিষয়ে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান বলেন, তাকে আটক করেছে আমি জানি, কিন্তু টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমি জানিনা।
পাঠকের মতামত: