মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলা, চাদাঁবাজি বন্ধে ও নিরাপত্তার দাবীতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য মানববন্ধন করেছে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গয়ালমারার সর্বস্তরের জনসাধারণ। মঙ্গলবার বেলা ১টায় লামা উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল এই স্মারক লিপি গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে ৩ শতাধিক স্থানীয় জনসাধারন প্লে কার্ড, ব্যানার ও লিপলেট নিয়ে তাদের দাবী উপস্থাপন করেন।
মানববন্ধনের নেতৃত্ব প্রদান করে, ফাঁসিয়াখালী গয়ালমারা এলাকার গ্রাম সর্দ্দার নুরুল আজম, মসজিদের ঈমাম মৌলভী মানিক মিয়া, কৃষক রুবেল ইসলাম, নুরুল হুদা, ব্যবসায়ী আব্দু রহিম, নজরুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঈদগড় বাজারের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন, বাজার সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা, বাইশারী এলাকার আব্দুর রশিদ, রাবার বাগান ম্যানাজার সিরাজুল ইসলাম সহ প্রমূখ।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা দিনে কাজ কর্ম করি কিন্তু রাত নামলেই ভয় আর নিরাপত্তাহীনতায় ভূগি। রাতে সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার সবাই একসাথে জড়ো হয়ে থাকি। টাকা পয়সা নিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রতিমুহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।
বক্তা আব্দু রশিদ বলেন, গত কয়েকদিন আগে গয়ালমারা এলাকার এক মহিলাকে পাহাড়ি সন্ত্রীরা তুলে নিয়ে যায়। ৪ দিন তাকে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন শেষে ফেরত দেয়। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাকে নিখোঁজ বা হত্যা করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। গত এক বছরে প্রায় ৮/৯ জন লোক নিখোঁজ রয়েছে। অলিখিত ত্রাসের রাজত্ব চলে দূর্গম লামার গয়ালমারা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী, ঈদগড় এলাকায়। বিশেষ করে দূর্গম এলাকা হওয়ায় সন্ত্রাসীরা যা ইচ্ছে তা করতে পারে।
গয়ালমারা এলাকার গ্রাম সর্দ্দার নুরুল আজম বলেন, এলাকার কয়েক হাজার মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানায়। আমাদের বাচাঁন পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে।
পাঠকের মতামত: