মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::
লামা উপজেলার নারীদের তৈরি নকশিকাঁথা, বল্কবাটিক, সেলাই কাজ, পুতি দিয়ে তৈরি টিস্যু বক্স ও বিভিন্ন ফুলের টপ সবার নজর কেড়েছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অসহায়, দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা, অসচ্ছল পরিবারের নারীরা এইসব কাজে মনোনিবেশ করেছেন। আর এই কাজে সকল ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল।
নকশিকাঁথা, বল্কবাটিক, সেলাই কাজ সহ নানান কাজে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেদের বাঁচার অবলম্বন খুঁজে বলে জানান এইসব কাজে অংশ নেয়া নারীরা। পাশাপাশি নারীদের কারিগরিভাবে দক্ষ করে তুলতে পাপস বুনন, অ্যামব্রয়ডারী, বাটিক, বুটিকসহ মোট ৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। নিজেদের দক্ষ করে তুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন।
প্রশিক্ষণার্থী নুরজাহান বেগম, আনোয়ারা বেগম ও লায়লা বেগম বলেন, স্বামী মানুষের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে। তার আয় দিয়ে সন্তানের লেখাপড়া ও সংসার চালানো কঠিন। নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল এর সহযোগিতায় আমরা নকশিকাঁথা, বল্কবাটিক, সেলাই কাজ করছি। এখন আমরা প্রত্যেকে প্রতিমাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় করছি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক নারী এখন স্বাবলম্বী। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের উদপাদিত পণ্যসমূহ যেন সঠিক দামে ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারে সেজন্য আমরা সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠণ, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করতে সকলকে আহবান করেন।
লামা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা বলেন, দেশকে উন্নতশীল দেশে পরিণত করতে হলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। তাহলে প্রতিটি পরিবারে অর্থের সংকট দূর হবে। প্রত্যেকটি পরিবার সমাজ অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হলে দেশ উন্নত হবে। নারীদের আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে নারীনেত্রী ও জয়িতা ফাতেমা পারুল অনেক বড় কাজ করেছেন। আমি ঊনাকে শুভেচ্ছা জানাই।
পাঠকের মতামত: