মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কম্পোনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিরিঞ্জা বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অর্ধশত সরকারী বে-সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকরা। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো মেরামত বা পুণ নির্মাণে কোন উদ্যোগ নেই।
কম্পোনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওয়াজকুরুনী বলেন, ৩০ মে মঙ্গলবার বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্কুলের টিনের ছাল সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। রমজানের ছুটির পরে বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো সম্ভব হবেনা। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে।
মিরিঞ্জা বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলের পাকা ও কাচাঁ ২টি ভবন বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি। দ্রুত বিদ্যালয়টি মেরামত না করা গেলে ঈদের বন্ধের পরে বিদ্যালয় শুরু করা সম্ভব হবেনা। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়টি মেরামতে উপজেলা পরিষদ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা করা হয়েছে। দ্রুত মেরামত ও পুণ নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাকে ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা লিখিত ও মৌখিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবহিত করেছেন।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। বেশী ক্ষতির বিচার করে বিদ্যালয় গুলো মেরামতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: