মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে বান্দরবানের লামায় শুরু হয়েছে “ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রম/২০১৭”। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০টি আলাদা বুথের মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান ও ইউপি মেম্বারদের সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে লামা উপজেলা নির্বাচন অফিস।
জানা গেছে, লামায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে কিছু মিয়ানমারের বৌদ্ধ রাখাইনরা পরিচয় পাল্টিয়ে ও তথ্য গোপন করে ভোটার হচ্ছে। একইভাবে অনেক রোহিঙ্গা মুসলিমও সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভোটার করে অনেক নেতারা তাদের ভোট বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার লামার সরই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড কম্পোনিয়া রিটর পাড়ার রিথোয়াই মার্মাকে ভুয়া বাবা সাজিয়ে “রাজসেনা (ভান্তে)” নামে একজন মিয়ানমারের নাগরিক ভোটার হওয়ার জন্য কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসার নব বিন্দু নারায়ণ চাকমা কে অবহিত করলে তিনি রাজসেনা এর সকল কাগজপত্র জব্দ করেন। স্থানীয়রা জানায় কম্পোনিয়ার রিথোয়াই মার্মার ৩ ছেলে অথচ রাজসেনা সহ হয় ৪ ছেলে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার নব বিন্দু নারায়ণ চাকমা বলেন, তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে তার কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। তাকে পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা তাকে খুজঁছি। বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে স্থানীয় একজন উপজাতি নেতা বলেন, মিয়ানমারের অনেক রাখাইন বৌদ্ধরা আগেই ভোটার হয়েছে। অনেকে এখনও হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের চেনার একটি উপায় হচ্ছে তারা নামের শেষে মার্মা বা রাখাইন বিশেষণটি লিখে না। তাদের দেখতে মার্মাদের মত হওয়ায় তারা এই সুযোগটি গ্রহণ করছে।
পাঠকের মতামত: