ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় ভেজাল ঔষুদ বিক্রেতাকে জরিমানা

ািাাাাুমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামা পৌরসভার লামামুখ বাজারে এক ভেজাল ঔষুদ বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমান আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নকল ঔষুদ বিক্রেতা মৃদুল কান্তি দাশ(৫২) কে এই জরিমানা করেন লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, লামামুখ বাজার জামে মসজিদের ঈমাম শামসুল ইসলাম(৪৬)কে লামামুখ বাজারের পদ্মা মেডিকেল হল (লাইসেন্স নং-ঈঞ-০২২৪) এর মালিক মৃদুল কান্তি দাশ দেশের শীর্ষ ঔষুদ কোম্পানী স্কয়ার এর ক্যালবো-ডি ক্যালসিয়াম নামে ৩০টি ট্যাবলেটের একটি বোতল বিক্রি করে। ক্রেতা শামসুল ইসলাম বাড়িতে গিয়ে ঔষুদ খেতে দেখেন ভিতরে ২০টি ট্যাবলেট রয়েছে। ট্যাবলেট গুলো খুবই নরম ও ঔষুদের গায়ে কোম্পানীর নাম লিখা নেই। সন্দেহ হওয়ায় লামামুখ বাজারের আরেক দোকানদার মাহাতাব উদ্দিন রনিকে বিষয়টি জানায়। রনি পূর্বে ফার্মেসিতে চাকরি করার সুবাধে তার অভিজ্ঞতা থাকায় নকল ঔষুদটি চিনতে পারে। সাথে সাথে পদ্মা মেডিকেল হলে গিয়ে বিষয়টি জানায় এবং উক্ত ফার্মেসী থেকে আরো অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নকল ঔষুদ বের করা হয়।

এলাকাবাসি জানায়, ফার্মেসি মালিক মৃদুল কান্তি দাশ দীর্ঘদিন যাবৎ এই ভেজাল ঔষুদের ব্যবসা করে আসছে। সামান্য খুচরা বিক্রেতা থেকে অবৈধ ব্যবসা করে আজ সে কোটি কোটি টাকার মালিক। তাছাড়া সে নিজেকে ডাক্তার দাবি করে মানুষের চিকিৎসা করে। তার নামের পাশে লিখিত ডিগ্রী গুলো ভূয়া কিনা তা যাচাই করার দাবি করেন এলাকাবাসি। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা এই ফার্মেসি ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল পূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি এলাকাবাসি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুর রহমান মজুমদার, লামা পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম, লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও লামা থানার পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ ফার্মেসি তল্লাসীকালে আরো মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন কোম্পানীর ঔষুদ পাওয়া যায়।

স্কয়ার ফার্মাসিটিকেল লিঃ এর লামা বিপনন কর্মকর্তা (এম.আর) মোঃ হাসান জানান, নকল ঔষুদ বিক্রির ও তৈরির একটি বড় সিন্ডিকেট আছে। তারা দেশের নামি দামী কোম্পানীর ঔষুদ নকল করে বিক্রি করে। আর এইসব ফার্মাসিষ্টরা বেশী লাভের আশায় নকল ঔষুদ বিক্রি করে।

লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, বিক্রিত স্কয়ারের ক্যালবো-ডি ঔষুদ গুলো নকল। এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ বলেন, নকল ও ভেজাল ঔষুদ বিক্রি গুরুতর অপরাধ। জব্দকৃত ঔষুদগুলো আসল ঔষুদের সাথে মিলিয়ে দেখে সত্যতা পাওয়ায় ঔষুদ আইন ১৯৪০ এর ১৭/২০/২৭ ধারায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: