ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় পাইন্যাঝিরিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভুমিদস্যুরা জমি দখলের মহড়া

লামা প্রতিনিধি :::
চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর পাইন্যাঝিরি এলাকার ভুমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও তা অমান্য করে জমিদখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় একদল ভুমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত অন্যের জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে বহিরাগত লোকজন নিয়ে মহড়া দেয়ার কারণে নিরাপত্তহীনতায় রয়েছে জমির প্রকৃত মালিকেরা।

জানা গেছে, চকরিয়া সীমানা সংলগ্ন লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারি ৪নং ওয়ার্ডের পাইন্যারঝিরি এলাকার বাসিন্দা রাজিয়া বেগম গংয়ের ক্রয় সুত্রে খতিয়ান ভুক্ত মালিকানাধীন ফাঁসিয়াখালী ২৮৬ নং মৌজার হোল্ডিং নং ৯৩৬ ও ৯৩৭ নং খতিয়ানভুক্ত ১০ একর জায়গা রযেছে। ওই জমির প্রকৃত মালিক রাজিয়া বেগম গং দীর্ঘদিন ভোগদখলে থাকিয়া বসবাসের পাশাপাশি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু ওই জায়গার উপর লুলোপ দৃষ্টি পড়ে একদল দখলবাজ ভুমিদস্যুদের।

ওই জমির মালিক রাজিয়া বেগম গং জানান, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বুড়ি–পুকর এলাকার ইয়াকুব মৌলভীর পুত্র ইকবাল ফারুক কাজল ও তার লোকজন ওই জায়গাটি অবৈধভাবে দখলে নিতে অপতৎপরতায় লিপ্ত রযেছে। এ নিয়ে আদালতে জমির প্রকৃত মালিকদের হয়রানী করতে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়। ফলে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে রাজিয়া বেগম গং বাদি হয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা জজ আদালতে আপিল মামলা ০৬/২০১৭ দায়ের করে। উক্ত মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে গত ১৫ নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

অভিযোগে জানা যায়, আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার রায়কে তোয়াক্কা না করে পাশর্^বর্তী চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার পালাকাটা এলাকার চিহিৃত অস্ত্রধারীদের নিয়ে কাজলের নেতৃত্বে ওই এলাকায় জমি দখলের মহড়া দিতে শুরু করে। অভিযোগে আরো জানা গেছে, দখলবাজরা ওই এলাকার মূল্যবান জমি দখলে নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাদী ও তাদের পরিবারের লোকজন চরম আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: