ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

লবণের মূল্য বাড়বে আশাবাদী চাষীরা

কক্সবাজার অফিস :: লবণের মূল্য বাড়বে এমন আশাবাদ নিয়েই মাঠে নামতে শুরু করেছেন চাষীরা। কুতুবদিয়া আংশিক এলাকায় লবণ শুরু হলেও নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই অধিকাংশ এলাকায় লবণ চাষ শুরু হবে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আশেক উল্লাহ রফিক এমপি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার পরই লবণ চাষীদের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে কুতুবদিয়ায় আংশিক এলাকায় ইতোমধ্যে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলার সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনকারী উপজেলা মহেশখালী এবং অন্যান্য উপজেলা চকরিয়া, পেকুয়া, সদর উপজেলা ও টেকনাফে নতুন বছরের শুরুতে লবণ চাষে নেমে পড়বে চাষীরা। স্থানীয় লোকজন জানান, আগামী সপ্তাহেই প্রায় অধিকাংশ প্রজেক্টে চিংড়ি চাষ শেষ হবে। তাই ইতোমধ্যে লবণ চাষীরা মাঠে নামার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সহ বলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লবণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের সাথে গোপন আঁতাত রয়েছে কিছু ভুঁইফোঁড় লবণ মিল মালিকের। যারা অপ্রয়োজন সত্তে¡ও লবণ আমদানির পক্ষে ভূমিকা রাখে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ‘শিল্প লবণ’-এর আড়ালে সোডিয়াম সালফেট মিশ্রিত লবণ এনে ‘ভোজ্য’ হিসেবে বাজারজাত করে। তাদের কারণেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য পায় না চাষিরা। এ বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর অবগত হয়েছেন। তাই লবণের মূল্য নিয়ে ভাবনার কোন কারণ নেই। সরকার এক ছটাক লবণও আমদানি করবে না।
কক্সবাজার বিসিক’র উপ-মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লবণের কোন ঘাটতি নেই। গত মৌসুমে উৎপাদিত লবণ ও এর আগের মৌসুমের অবক্রিত লবণ সহ বর্তমানে বিপুল লবণ মওজুত রয়েছে। তাই লবণ আমদানির কোন যৌক্তিকতা নেই।

তারপরও নানা কৌশলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি অপ্রয়োজনীয় সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানি করে এই শিল্পকে ধংস করার ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমানে যে পরিমাণ লবণ উদ্ধৃত রয়েছে এতে লবণ ঘাটতির কোন সম্ভবনা নেই।
লবণ চাষী বাচাও আন্দোলনের আহবায়ক সাজেদুল করিম জানিয়েছেন, বিগত সময়ে লবণ চাষে চাষীদের অনিহা থাকলেও এখন তেমন পরিবেশ নেই। মৌসুমের শুরুতে লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
বিসিক সুত্রে জানা যায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের আংশিক এলাকায় চাষযোগ্য লবণজমির পরিমাণ ৫৭ হাজার ৭২২ একর। এতে চাষির সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার জন। ২০২০-২১ সালে দেশে লবণের চাহিদা সাড়ে ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন। যা গত মৌসুমে ছিল সাড়ে ১৮ লাখ মেট্রিক টন।
চৌফলদন্ডীর লবণ চাষী জাফর আলম জানিয়েছেন, লবণের মূল্যের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবগত হওয়ার পর থেকেই আমরা উৎসাহিত হয়েছি। আমরা এখন লবণ মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর উপর আমাদের পুর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি সবসময় চাষীদের পক্ষে থাকায় আমরা মূল্য নিয়ে আর চিন্তা করছি না।
মহেশখালীর লবণ ব্যবসায়ি মনজুর আলম বাদশা জানিয়েছেন, লবণ নিয়ে চাষীদের মাঝে এখন কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষনেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক লবণের মূল্য বাড়াতে পরিশ্রম করেছেন।
বিষয়টি নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচরে আনার পর থেকেই দৃশ্যপট কিছু পরিবর্তন হয়েছে। লবণ চাষীরা এখন পলিথিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম ইতোমধ্যে মওজুত করেছে। আশাকরি কোন সমস্যা হবে না।

পাঠকের মতামত: