ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে

barbeনিজস্ব প্রতিবেদক :::

আগামি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর কর বা শুল্কহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্ক (সিডি), সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া কিছু পণ্য ও সেবার স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি আয়করেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব কারণে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।

দাম বেড়ে যাওয়ার তালিকায় উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হলো- মোবাইল সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, ফাস্টফুড, বিড়ি-সিগারেট, জর্দা-গুল, জানালার পর্দা, জামা-কাপড়, জুতা, সিরামিকের তৈরি ইট, কম্বল, রেজর, ব্লেড, রঙ্গিন টেলিভিশন, টিভি কার্ড, আসবাবপত্র, সেনিটারি টাওয়াল, শ্যাম্পু, প্রসাধনসামগ্রী, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, কিচেন ওয়্যার, টুথব্রাশ, সোলার প্যানেল।

ফার্স্টফুডের দাম বাড়বে: ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বার্গার, স্যান্ডউইচ, হট ডগ, পিৎজাসহ ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাদ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের সাথে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক (স্থানীয় পর‌্যায়ে উৎপাদিত) আরোপ করেছেন। ফলে সবধরনের ফাস্টফুডের দাম বেড়ে যাবে।

মোবাইল ফোন: আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেটের আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।

ইমিটেশন জুয়েলারি: আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ইমিটেশন জুয়েলারির সম্পুরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নারীদের কাছে প্রিয় ইমিটেশন জুয়েলারির দাম বাড়বে।

কিচেনওয়্যার: রান্না ঘরে ব্যবহৃত টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যারের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।

ব্যাটারি: আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে লিথিয়াম, লেড এসিড, ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইডসহ সব ধরনের ব্যাটারি সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারিসহ, আইপিএস, ইউপিএসে ব্যবহৃত ব্যাটারির দাম বাড়বে।

এছাড়া আরো বাড়তে পারে শিশুখাদ্য, মিষ্টি বিস্কুট, চকলেট, জ্যাম, জেলি, বিট লবন, সিলিং ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, পটেটো চিপস, নখের প্রসাধনী, প্লাস্টিকের বক্স, পলিমার বস্তা, ওয়েফার, আমদানীকৃত শুটকি মাছ, আপেল, আগুর, এলাচ, জিরা, দারচিনি, লবঙ্গ, ফলের রস, সিমেন্ট, পারফিউরিক অ্যাসিড, ডিটারজেন্ট পাউডার, মশার কয়েল, দিয়াশলাই, অ্যারোসল, চামড়া ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, জুতা তৈরির উপকরণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ব্যাটারি, হ্যান্ড ব্যাগ, শপিং ব্যাগ, স্যুটকেস, পশমি কম্বল, আসবাবপত্র, শেভিং রেজার ইত্যাদি।

পাঠকের মতামত: