ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মুফতি আমির হামজা ৫ দিনের রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক :: ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমির হামজাকে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতে হাজতখানা রাখা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, মুফতি আমির হামজার বিরুদ্ধে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে তদন্তাধীন একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আজ কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাকে সিটিটিসি কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, মুফতি আমির হামজা ওয়াজ-মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযানের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৫ মে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় সাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাকিবকে গ্রেফতারের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আসামি করা হয় সাকিবসহ আলী হাসান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে।

এছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিবের মোবাইল ফোনে আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদের বার্তা সম্বলিত ভিডিও পাওয়া যায়। যা দেখে সে উগ্রবাদে আসক্ত হয়। গত ১৫ মে সাকিবকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায়, এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয় বলে জানায় সে।

পাঠকের মতামত: