ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মিয়ানমার, বাংলাদেশে আরসার নতুন ঘাঁটি থাকার খবর ডিএনএ’র রিপোর্টে

ডেস্ক রিপোর্ট ::
গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের অনলাইন ডিএনএ বলেছে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে নতুন নতুন ঘাঁটি স্থাপন করেছে রাখাইনে লড়াইরত আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)। এমনটা জানতে পেরেছে ভারত। এতে আরো বলা হয়েছে, এসব ঘাঁটিতে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ও বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পে বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য ক্যাডারেেদর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়শিবিরের খুব কাছেই গড়ে উঠেছে এরকম কিছু ঘাঁটি বা ক্যাম্প। বলা হয়েছে, তাদের টার্গেট হলো ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো। এমন খবরে উদ্বিগ্ন ভারত।

ডিএনএ আরো লিখেছে, গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে আরসা। তারপর তাদের ব্রেনওয়াশ করছে এবং তাদেরকে উগ্রবাদী করে তুলছে। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র।

একই অভিযোগ করেছে মিয়ানমার সরকারও। তারা বলছে, বাংলাদেশের ভিতরে তিনটি প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে আরসার। তাতে যোগ দিচ্ছে অনেক রোহিঙ্গা।
পক্ষান্তরে এমন শিবিরের অস্তিত্ব বাংলাদেশের মাটিতে থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সমর্থন দাবি করেছে।

ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, সম্প্রতি ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিদ্রোহীদের হুমকি দমনে বড় ধরনের অভিযান চালায় ভারতের সেনাবাহিনী। ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে ভারত ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যৌথভাবে। এর উদ্দেশ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবকাঠামোগত প্রকল্পের হুমকি নির্মূল করা।
ডিএনএ আরো লিখেছে, আরাকান আর্মিকে টার্গেট করে পূর্বাঞ্চলে বড় অভিযান চালিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে অভিহিত করেছে আরাকান আর্মিকে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, আরাকান আর্মির বড় হুমকির মুখে ছিল কাদালাদ প্রকল্প। কলকাতা থেকে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দরকে যুক্ত করতে কালাদান প্রজেক্ট হলো একটি ট্রানজিট প্রকল্প।

এই প্রকল্প ভৌগোলিকভাবে বেষ্টিত উত্তর পূর্ব ভারতের জন্য একটি নতুন গেটওয়ে। কলকাতা থেকে মিজোরামের দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার কমিয়ে দেবে এই প্রকল্প। ফলে কলকাতা থেকে মিজোরাম সফরের সময় কমপক্ষে চার দিন কমে যাবে।
গোয়েন্দাদের পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, কালাদান প্রজেক্টে হুমকি রয়েছে। এ কারণে, ওই এলাকা থেকে বিদ্রোহী গ্রুপগুলো, যারা মিয়ানমারের দক্ষিণে মিজোরামে ঘাঁটি স্থাপন করেছিল, তাদেরকে মুছে ফেলার জন্য পরিকল্পনা নেয় ভারতের সেনাবাহিনী।
গোয়েন্দারা আরো জানতে পেরেছেন যে, আরাকান আর্মি সুপ্রশিক্ষিত। তাদের আছে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসেস (আইইডি)। যার ফলে ওই প্রকল্পটি হুমকিতে রয়েছে। একটি সূত্র বলেছেন, এটা ভারত ও মিয়ানমার উভয়ের জন্য একটি গুরুত্বর উদ্বেগের বিষয়। ওই সূত্রটি আরো বলেছেন, এ বছরের জানুয়ারিতে আরসা সদস্যরা যখন সীমান্ত চৌকিতে হানা দেয় তখন মিয়ানমারের ৬ জন সীমান্ত প্রহরী আহত হয়েছেন।

পাঠকের মতামত: