নিজস্ব প্রতিবেদক :: ১৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে আরেক দফা কমেছে বিভিন্ন মসলার দাম। কিন্তু এর কোনো প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বরং উল্টো পাইকারি ও খুচরাতে দামের ব্যবধান মসলা ও ক্যাটাগরিভেদে একশ থেকে পাঁচশ টাকা।
বিশ্ব বাজারে দাম পড়ে যাওয়া এবং দেশে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মসলা আমদানি হওয়ায় দাম কমানোর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে চলমান লকডাউনের কারণে বিয়েসহ সকল সামাজিক অনুষ্ঠান ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় মসলার চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।
বিশেষ আরেকটি কারণ হচ্ছে ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ প্রক্রিয়া। আগে কোরবানির পশু কেনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মসলার বাজার। যা এখন সেই অবস্থায় নেই। মানুষ প্রতিদিনের রান্নার মত যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী অল্প কিছু মসলা কিনে। বাকি মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। তাই মসলার বাজারে চাপ নেই। আগের আমদানি করা মসলায়ই চলছে বাজার।
আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম কমেছে উল্লেখ করে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী অর্পণ চৌধুরী বলেন, পাইকারি বাজারে গতকাল পর্যন্ত গুয়েতেমালা ও ভারত থেকে আমদানি করা ভালোমানের এলাচের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল এলাচ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৬শ’ টাকায়। যা গত ছয়মাস ধরেই একই রয়েছে। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মধ্যমানের এলাচের দাম।
বিশেষ করে কোরবানিতে মধ্যমানের এলাচের চাহিদা বেশি থাকে। যা ১৫ দিন আগে ছিল ২ হাজার টাকা। দাম কমে গতকাল পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১৯শ’ টাকায়। গতবছর এ দিনে একই এলাচ বিক্রি হয় কেজি প্রায় ৩ হাজার টাকায়। আমদানি করা ভালোমানের মিষ্টি জিরা ৩৮০ টাকা থেকে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায় ও ভারতীয় জিরা ২৮০ টাকা থেকে দাম কমে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লবঙ্গ ১০২০ টাকা থেকে কমে ৯২০ টাকায়, ভিয়েতনামের গোলমরিচ ৪৯০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায় ও দারচিনি ৩৫০ টাকা থেকে দাম কমে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, খুচরা বাজারে গুয়েতেমালা ও ভারত থেকে আমদানি করা মধ্যমানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৪শ’-২৬শ’ টাকায়। জিরা ৪০০-৪৫০ টাকায়, লবঙ্গ ১১শ’ টাকায়, গোলমরিচ ৮৭০ টাকায় ও দারচিনি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারের মধ্যে মসলার দামের পার্থক্য প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়েছে।
পাঠকের মতামত: