আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিশ্বচোর ও আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় ফেডারেল ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকার একটি অংশ তারেক রহমান পেতে পারেন।’
বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্ম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী প্রচার লীগ নামের একটি সামাজিক সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ক্ষুধাকে জয় করেছি। ঘাটতি নেই, দেশ থেকে এখন খাদ্য রফতানি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা অনেকের কাছে বিস্ময়। কিন্তু অনেকের তা সহ্য হচ্ছে না। এই অগ্রযাত্রা ঠেকাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘কার্গো বিমান ও ফেডারেল ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনা এই ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা— তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকা চুরির ঘটনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে শুধু অর্থমন্ত্রী নয়, প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ দাবি করেছে। তাদের এই বক্তব্যেই ষড়যন্ত্রের বিষয় অনেকাংশে স্পষ্ট হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হ্যাকারদের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে। এই টাকার একটি অংশ বিশ্বচোর চক্র ও জুয়াড়িদের হাতে পড়েছে। আন্তর্জাতিক চোরচক্র ও জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় তার কিছু অংশ তারেক রহমান পেয়েছেন বলে ধারণা করা যায়।’
শক্তিশালী বিএনপি দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটলে চলবে না। তাকে ধীরে হলেও হাঁটতে হবে। আমরা চাই দ্রুতগতিতে না হলেও বিএনপি অন্তত ধীরগতিতে হাঁটুক।’
বিএনপির কাউন্সিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিল না করার ব্যর্থতার দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ও মহানগর নাট্যমঞ্চে সুযোগ থাকলেও বিএনপি সেসব স্থানে কাউন্সিল করতে চাইছে না। এসব স্থানে সম্মেলন করবে কী করে? এসব স্থানে সম্মেলন করতে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ লোকের সমাবেশ ঘটাতে হয়ে। সে ক্ষমতা কী এখন তাদের আছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘লুকোচুরি না করে প্রকাশ্যে কাউন্সিল করুন। নাটক করে লাভ হবে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাউন্সিল হয়নি। নেতাকর্মী ও কাউন্সিলররাও আসেননি। অথচ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অটোপ্রোমোশন পেয়ে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলার কায়দায় তারা চোরাপথেই নির্বাচিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াউর রহমানের অনুসৃত পথে চলছেন না। তিনি স্বামী জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এতে জিয়াউর রহমানের রক্তের ভাই কষ্ট পেয়েছেন। বেগম জিয়া কষ্ট পাননি। বেগম জিয়া কষ্ট পাবেন কেন? উনার সঙ্গে তো আর জিয়াউর রহমানের রক্তের সম্পর্ক নেই। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যাদের রক্তের সম্পর্ক আছে তারাই কষ্ট পাচ্ছেন।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন— আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল বাদল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ ইকবাল।
দ্য রিপোর্
পাঠকের মতামত: