ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ, তীব্র যানজট চকরিয়ায়

rrrrrমাহিয়া সোলতানা মিশু, চকরিয়া:
রমজানেও তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চকরিয়ার পৌরবাসী। বিশেষ করে সকাল সাড়ে ৯টা থেখে সাড়ে ১১ ও ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এতে করে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে রোজাদাররা। যানজটের কবলে পড়ে অনেকেই শুধু পানি ও শুকনো খেজুর খেয়ে পথে ইফতার সারছে। দিন দিন চিরিংগা ব্যস্ততম বাণিজ্যক এলাকা পৌর শহরে যানজট অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি হলেও মাথা ব্যথা নেই ট্রাফিক পুলিশের। চকরিয়ায় ট্রাফিক বিভাগের নবাগত সাজেন্ট নিজামের নেতৃত্বে ঈদ বকসীসের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে দায়িত্বরত কনস্টেবল’রা বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে সময়-অসময়ে বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযানে চালিয়ে হয়রানী করছে সাধারণ চালকদের। অভিযানে বৈধ সিএনজি, টমটম ও মোটর সাইকেল ধরা প্রতিনিয়িত। পরে জব্দকৃত গাড়ির মালিক ও চালকদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। আর টাকা না দিলে আইনের মারপ্যাচে দেখিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে সিএনজি চালক করিম জানান, আমার গাড়ির সব কাগজপত্র বৈধ। তারপরও গাড়িটি ধরে আনা হয়। ফটোকপি কাগজ দেখানোর পর মূল কাগজ চায় তারা। পরে মূল কাগজ আনলেও গাড়ি ছেড়ে দেয়নি। কিন্তু ২ হাজার টাকা নিয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবলরা গাড়ির চাবি দেয়। টাকা নেয়ার সময় কোন সিøপও দেয়নি। একই অভিব্যক্তি জানালেন টমটম চালক করিম। এমন অভিযোগ অহরহ রয়েছে।
রমজানের শুরুতেই যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। যানজটের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন বৈধ-অবৈধ সব টমটম আর রিক্সাকে। পাশাপাশি শহরে ধারণ ক্ষমতার বাইরে পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক টমটমের লাইসেন্স প্রদানও যানজটের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে চিহিৃত করেছেন পৌরবাসী। শুধু টমটম আর রিক্সা নয় প্রতিনিয়ত যেখানে সেখানে পার্কিং করে মাহিন্দ্র, সিএনজি ও বদরখালী, বেতুয়াবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে লাইনের যানবাহন যাত্রী উঠা-নামা করার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পৌর শহরের ভিতর চলাচল করায় যানজট আবারো বেড়ে গিয়েছে। ফলে যানজটে নাকাল পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। যা আসন্ন রমজানে বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকের আশংকা। সরেজমিনে দেখা যায়-বিশেষ করে নিউ মার্কেট, পুরাতন বাসর্টামিনাল, হাসপাতাল গেইট, কাচাঁবাজার সড়ক এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। এতে করে যেমন করে মানুষ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে নষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে মানুষের নিত্য নৈমত্তিক কর্মকান্ডেও। পৌর শহরের পুরাতন বাসটার্মিনাল থেকে থানা রাস্তার মাথা পর্যন্ত সামান্য পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট যা অনেক সময় ৩০ মিনিটের কাছাকাছিও চলে যায়। তবে রমজানের আগেভাগেই চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে শতশত হকার উচ্ছেদ করায় পথচারীরা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেফে। অপর দিকে চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের ময়লা আর্বজনা ও নালা পরিস্কার করায় চকরিয়া পৌরবাসী ও এলাকার সচেতন মহল পৌর কতৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে চাদাঁবাজিতে ব্যস্থ ট্রাফিক পুলিশেরা একটু সুনজর দিলে হয়তো যানজট সমস্যাও নিরসন হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে চকরিয়ার সচেতন পৌরবাসী। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

 

পাঠকের মতামত: