মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
সরকারি রাজস্ব তহবিল থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন প্রদানের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে লামা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার বেলা ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করেন।
পৌর সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) রাজীব বড়–য়া, পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন লামা কমিটির সভাপতি তানফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শহীদ, সহকারী কর নির্ধারক বাসু কান্তি দাশ সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে অংশ নেয়।
কর নির্ধারক নুর মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি, ডিপিএইচই, ওয়াসা, সমবায় অধিদপ্তর ও উপজেলা পরিষদসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সরকারি রাজস্ব তহবিল থেকে বেতন-ভাতা, পেনশন সহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করছেন। অথচ একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৌরসভা থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। কিন্তু পৌরসভার পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় কর্মচারীদের বেতন সহ অন্যান্য সুবিধাদি নিয়মিত পাচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের চাকরী সরকারী হওয়া সত্ত্বেও আমার পেনশন হতে বঞ্চিত। পৌরসভার আর্থিক সংকটের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। নিয়মিত বেতন-ভাতাদি না পেয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক তানফিজুর রহমান বলেন, জনসেবকের দায়িত্ব পালনকারী সংস্থা স্থানীয় সরকারের মূল প্রতিষ্ঠান পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও আনুতোষিক পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। এতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনিয়মিত হয়ে থাকে। ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লামা পৌরসভার নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৪ জন ও মাষ্টার রোলে কর্মচারী ২১ জন। ৯৬টি সৃষ্ট পদ থাকলেও কর্মরত ১৪ জনকেই সকল দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারপরেও আমরা মৌলিক সুবিধা হতে বঞ্চিত। জাতীয় কমিটির সাথে একাত্বতা পোষণ করে সারাদেশের ৩২৭টি পৌরসভা আগামী ১৩ নভেম্বর পুর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবে।
এসময় পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন লামা কমিটির সাথে একমত পোষণ করে বক্তব্য রাখেন পৌর সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) রাজীব বড়–য়া।
পাঠকের মতামত: