নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেছেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যধি। পারিবারিক দারিদ্র্যতা ও উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের কুসংস্কারের কুফল হিসেবে বাল্য বিয়ে নামক ব্যধি সমাজকে নানাভাবে কুলুষিত করছে। এইজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বাল্য বিয়ের শিকার পরিবারের মা-বাবা এবং পরিবার সদস্যরা। এরপর বাল্য বিয়ের জন্য দায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রার ও ক্ষেত্র বিশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের দায়িত্বশীল কিছু মানুষ।
মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বাল্য বিয়ে একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। সামাজিক রীতি প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই সময় থাকতে সবাইকে যারযার অবস্থান থেকে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে। এইক্ষেত্রে সবার অংশ গ্রহণে সামাজিক সচেতনতা জোরালো করতে হবে। তাতে করে বাল্য বিয়ে নামক কুসংস্কার দূর করা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে চকরিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে ব্রাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনীসুরক্ষা কর্মসুচির আয়োজনে পৌরসভা পর্যায়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আলমগীর চৌধুরী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য পৌরসভার সকল কাউন্সিলরকে আহবান জানান।
ব্রাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনীসুরক্ষা কর্মসুচি কক্সবাজারের ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে চকরিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাস উদ মোর্শেদ। বক্তব্য দেন চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফোরকানুল ইসলাম তিতু, প্যানেল মেয়র ২ মুজিবৃল হক মুজিব, কাউন্সিলর ইফতেখারুল ইসলাম হানিফ, কাউন্সিলর জাফর আলম কালু, কাউন্সিলর নুরুল আমিন, নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াছমিন ফোরকান ও ব্রাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনীসুরক্ষা কর্মসুচি চকরিয়া উপজেলা এসোসিয়েট অফিসার ফিলিপ সরকার, সাংবাদিক এম জিয়াবুল হক, সাংবাদিক মনছুর আলম রানা। সেমিনারে পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগের উধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: