জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর বিয়েতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। আসছে ২১ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুর বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে বিশিষ্টজনদের। বাবলুর হবু শাশুড়ি সংসদ সদস্য মেরিনা ইয়াসমিন এ কথা জানিয়ে বিয়ের প্রস্তুতির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানিয়েছেন পরিবর্তন ডটকমকে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে তার পক্ষ থেকে দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বিয়েতে সরকারের মন্ত্রিদেরও দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেরিনা ইয়াসমিন বলেন, এখন তারা এই বিয়ে নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
কতজন অতিথিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বাবলুর হবু শাশুড়ি জানান খুব বেশি অতিথিকে বলা হচ্ছে না। গুলশানের লা মেরিডিয়ান রেস্টুরেন্টে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বুকিং দেওয়া হয়েছে। বিয়ের সার্বিক কেনাকাটা ও আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মেরিনা ইয়াসমিন বলেন, অনুষ্ঠান সুন্দর করার জন্য তাদের হবু জামাই জিয়াউদ্দিন বাবলুর সাথে পারিবারিকভাবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
তবে এই বিয়েতে এরশাদের ঘনিষ্ঠ নেতারা ছাড়া জাতীয় পার্টির অন্য নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে না বলে দলটির একটি সূত্রে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য ও সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর শ্বশুর হতে যাচ্ছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ। এরশাদের ভাগনি মেহেজেবুননেছা রহমান টুম্পার সঙ্গে ২১ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন বাবলু।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এরশাদের উদ্যোগেই জিয়াউদ্দিন বাবলু আবার বিয়ে করছেন। ঘরোয়াভাবে এ বিয়ে অনুষ্ঠান হবে। ২১ এপ্রিল সকালে বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় আকদ এবং সন্ধ্যায় গুলশানের মেরিডিয়ান রেস্টুরেন্টে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
জিয়াউদ্দিন বাবলু দশম জাতীয় সংসদে জাপার দলীয় সাংসদ। তাঁর হবু শাশুড়ি মেরিনা রহমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। মামা শ্বশুর এরশাদও এ সংসদের সাংসদ। আর মামি শাশুড়ি রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। ফরিদা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বাবলুর হবু স্ত্রী মেহেজেবুননেছা রহমানও অধ্যাপক। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর। প্রথম সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
এদিকে স্ত্রী ফরিদা সরকারের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে আশিক আহমেদকে নিয়ে আছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ছেলে এমবিএ শেষ করে ব্যবসা করছেন, বিয়েও করেছেন। পরিবর্তন
পাঠকের মতামত: