দীর্ঘদিন ধরে মেরামত ও সংস্কারের অভাবে বান্দরবান পৌর শহরের রাস্তাঘাটগুলো খানা–খন্দকে ভরে গেছে। সামান্য বৃষ্টিস্থাতেই বেশিরভাগ অলি–গলি এবং সড়কপথ পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে জনদুর্ভোগ চরমভাবে বাড়ে। পৌরসভার নাগরিকরা অভিযোগ তুলেছেন, বিপুল অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও রহস্যজনক কারণে মেরামত ও উন্নয়ন কাজ শুরু করা হচ্ছে না।
প্রথম শ্রেণীর বান্দরবান পৌরশহরের কালাঘাটা সড়ক, শিশু পরিবার সড়ক, বালাঘাটার ক্যান্ট পাবলিক স্কুলের পাশের সড়ক, ক্যচিংঘাটা এলাকার সড়ক এবং হাফেজঘোনা এলাকার ভেতরের সড়কপথ, অলি–গলিগুলো যানবাহন চলাচল ও জনযাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বহুদিন আগে থেকেই। কিন্তু এসব বিধ্বস্ত ও বিনষ্ট সড়কপথগুলোর সংস্কার বা মেরামতের কোন উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে না গত এক বছর ধরে। কালাঘাটা এলাকার বাসিন্দা মো.ইউনুছ, আলমগীর, চিংসা মং মারমা, বাসুুরাম ত্রিপুরা এবং সৈতক বড়ুয়া বলেন, সামান্য বৃষ্টিপাতেই প্রধান সড়কের নানাস্থানে সৃষ্ট গর্ত এবং নিচু এলাকাসমুহ পানিতে তলিয়ে যায়। যানবাহন চলাচল দূরে থাক, মানুষের পায়ে হাটাও চরম সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু–কিশোর শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই দুর্ভোগের সম্মুখিন হচ্ছে। বালাঘাটা ক্যান্ট পাবলিক স্কুলের পাশে ইটের সড়কটি ক্ষত–বিক্ষত হয়ে পড়েছে বৃষ্টির পানিতে। গত বছর থেকেই সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। বহুবার জানানোর পরও পৌর কর্তৃপক্ষ এ সড়কপথ এলাকার সংস্কার করছে না। শহরের হাসপাতালের পাশে নতুন ব্রিজ থেকে ক্যচিংঘাটা ও নতুন পাড়া পর্যন্ত সড়কের নানাস্থানে খানাখন্দকে ভরে গেছে। বৃষ্টির পানিতে এসব গর্তের দশা বেহাল এবং শোচনীয় হয়ে পড়ে। পৌর এলাকার গুরুত্বপুর্ণ সড়কপথগুলো দীর্ঘ এক বছর ধরে মেরামত ও সংস্কার না করায় যানবাহন চলাচল এবং জনযাতায়াত করা খুবই কষ্টসাধ্য ও যাত্রীবাহী ছোট যানবাহনগুলোর যন্ত্রাংশ কেবলি বিনষ্ট হচ্ছে।
পৌর কাউন্সিলরা বলছেন,পৌরসভায় বিশেষ প্রকল্পের অনুুুকূলে বিপুল অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্বেও জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কপথ,অলি–গলি সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ না করার বিষয়টি রহস্যজনক। পৌর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল বিভাগের আওতাভুক্ত থাকায় পৌরসভার পক্ষে সেখানে মেরামত বা সংস্কার কাজ করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে মেরামতযোগ্য অলি–গলিগুলোর সংস্কার বা মেরামত কাজ শুরু করা হবে শীঘ্রই।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, সংশ্লিষ্ট খাতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষত–বিক্ষত রাস্তাঘাটের সংস্কার বা মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
পাঠকের মতামত: