ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবানে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ৩

বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনালপাড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ফরিদ আলম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ঘোনারপাড়া এলাকার আবদুল মোনাফের ছেলে।
লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আটকৃতরা হলো নিহত ফরিদের মামাতো ভাই মিজান, তার বড় বোন ফরিজা বেগম এবং তার স্বামী নুরুল আলম (কালু খলিফা)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিশেষজ্ঞ দল। পরে নিহতের তিন আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
নিহত ছাত্রের পিতা আবদুল মোনাফ জানান, ফরিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেউ একজন ফোন করে ঘর থেকে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাতে সাড়ে ১০টার দিকে ফরিজা বেগমের বাড়িতে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে যান তিনি।
নিহতের ভাই শাহা আলম বলেন, “আমাদের পিতা আবদুল মোনাফের সাথে কাদের মেম্বারের উত্তরাধিকার সূত্রে জায়গা জমির বিরোধ ছিল। আর ফরিদ প্রায় সময় কাদের মেম্বারের মেয়ে ফরিজার বাড়িতে ইন্টারনেট (ওয়াইফাই) ব্যবহার করার জন্য যেত। এদিকে গলায় ওড়না পেঁচানো থাকলেও ফরিদের লাশ পড়ে ছিল খাটের উপর। এ কারণে ঘটনাটি হত্যা হিসেবে দেখছি আমি।” নিহত ফরিদ আলম ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজেও সম্পৃক্ত ছিল বলে জানান তিনি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ঘটনাস্থলে যে অবস্থায় লাশ পড়ে ছিল তাতে ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। পুলিশের তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

পাঠকের মতামত: