বান্দরবানে আগামী ৪ জুন কুহালং ও আলীকদমের ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর আলম, এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য শফিকুর রহমান, সহ- সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের প্রাথীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। সদরের কুহালং ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ্য করে সেখানে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীদের গ্রেতারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালায় হতে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রেস ক্লাবের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার কুহালং ইউনিয়নের কিবুক পাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সুনিল চাকমা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল বলে নেতৃবৃন্দ দাবি করে করে বলেছেন তাকে জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে।
অন্যদিকে জনসংহতি সমিতির জেলার সভাপতি উচোমং বলেন, পাবত্য চট্রগ্রাম যুব সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুনিল চাকমা তাদের কর্মী। এবং আগামী ৪জুন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও নৌকার মার্কার লোকজন তাকে হত্যা করেছে।
পাঠকের মতামত: