সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
লামা উপজেলার ফাশিয়াখালী ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার নাছির উদ্দীনের কোদালের কুপের আঘাতে এক নারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত শাহিদা বেগম (৫৫) ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সাপের ঘারা গ্রামের মনুর আলমের স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছে নিহতের পুত্র মো: জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, গত সোমবার বিকেলে বসত ভিটার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় শফি আলম প্রকাশ পুতু, এজাহার মিয়া, শাহাব উদ্দিন, নুর বকসু, ইউছুপ জালাল, জামাল উদ্দিনসহ অস্ত্রধারী ৭/৮ জনের সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীরকে গতিরোধ করে। এসময় তারা গাছ কাটা মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। জাহাঙ্গীর একপর্যায়ে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কিছু বুঝে উঠার আগেই নাছির মেম্বার তার উপর দা, কোদাল, ও লাটিসোটা নিয়ে মারধর করেন। তার শোর চিৎকারে তার মা শাহিদা বেগম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে কোদাল দিয়ে পেটে আঘাত করেন। এসময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে পরিবারের লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় শাহিদা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঐদিন রাতেই তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৮দিন চিকিৎসাধিন থাকার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় তার মৃত্যু হয়। প্রশাসনিক প্রক্রিয় শেষে একই দিন রাতে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় লামা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম।
পাঠকের মতামত: