মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::
হাটুভাঙ্গা পরিশ্রমে ফলানো ফসল নষ্ট করতে নিষেধ করায় কৃষাণী মেরে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষাণীর পরিবার সমাজের মোড়লদের কাছে বিচার প্রার্থনা করে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। আহত কৃষাণীকে চিকিৎসার জন্য লামা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কৃষাণী রোকেয়া বেগম (৫৫) লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈল্ল্যারচর এলাকার নুরুল আলমের স্ত্রী। সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় নিজ জমিনে এই ঘটনা ঘটে।
রোকেয়া বেগম জানান, আমরা নিজের জমিতে সবজি, তামাক ও ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের পার্শ্ববর্তী জনৈক নাজিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (২০), আব্দুল হামিদের ছেলে মিজানুল হক (২২) ও পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে সোহেল রানা (১৯) প্রায়সময় আমাদের আবাদকৃত জমিতে খেলাধূলা এবং চলাফেরা করতে গিয়ে ফসল নষ্ট করে। এই বিষয়ে তাদের নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সৃজিত ১২০ গোচা সিম গাছ, শতাধিক তামাক গাছ, ফলনশীল ১০০টি বেগুন গাছ ও ৫ শতক জমির মরিচ গাছ কেটে আমার প্রায় ৩০/৪০ হাজার টাকা ক্ষতি করে। এই বিষয়ে সোমবার (১৯ মার্চ) তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ধান ক্ষেতে ফেলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমার স্বামী বয়স্ক মানুষ ও উপযুক্ত কোন ছেলে না থাকায় আমাকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। এসময় তারা আমার ধানের ক্ষেতেরও ক্ষতি করে। কিছুক্ষণ পরে আমার ভাই বশির কারবারী খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জ্ঞান ফিরে এলে দেখি আমার নাক ও গলার স্বর্ণালংকার নেই।
আহত কৃষাণীর স্বামী নুরুল আলম বলেন, আমরা অসহায় ও গরীব বলে কি বিচার পাবনা ? সমাজের নেতারা আমাদের বিচার না করলে আইনী ভাবে আমরা অগ্রসর হব।
প্রতিপক্ষ ফারুক মিয়া, সোহেল রানা ও মিজানুল হক এই বিষয়ে কোন মন্তব্য দিতে রাজী হয়নি। তারা বলে, রোকেয়া মামলা করলে আমরা আইনীভাবে প্রতিহত করব।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল হাফিজ বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। রোগীর চিকিৎসা শেষে মীমাংসার জন্য বসা হবে বলে বলেছিলাম। বয়স্ক মহিলাটিকে মারধর করা উচিত হয়নি।
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, রোকেয়ার মুখ ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পাঠকের মতামত: