ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা কমলো

primaryঅনলাইন ডেস্ক :::

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে মন্ত্রণালয়ের একক ক্ষমতা কমানো হয়েছে। প্রভাবশালী মহলের তদবির ও একশ্রেণীর কর্মকর্তার বাণিজ্যের কারণে এমনটা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা ২০১৫ এর ১.২ ও ২.৮ নির্দেশিকাটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করে অফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃবিদ্যালয়, আন্তঃউপজেলা/আন্তঃথানা, আন্তঃজেলা, আন্তÍঃসিটি করপোরেশন এবং আন্তঃবিভাগে বদলি করতে হবে। বদলির প্রক্রিয়াতে কোনও ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষক বদলির নির্দেশিকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের হাতে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলির ক্ষমতা আছে। সাধারণ প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃ সিটি করপোরেশন ও আন্তঃবিভাগে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি করা হয়। অফিস আদেশে কিছু বলা না হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষক ঢাকায় ও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় বদলি হতে কয়েক মাস ধরে মন্ত্রণালয়ে তদবির করছেন। অনেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রী-সচিবের কাছে আসছেন। খালি পদের থেকে তদবিরকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৫ই জুলাই শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত সবশেষে নির্দেশিকা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশিকা ১.২ এ বলা আছে, যুক্তিসঙ্গত কারণে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বদলি শেষ না করা গেলে মন্ত্রণালয় যে কোনও সময়ের মধ্যে বদলি করতে পারবে। আর ২.৮ নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যে কোনও কারণে যে কোনও শিক্ষককে যে কোনও সময় বদলি করতে পারে। আদেশের পর এখন এই দুটিই স্থগিত হয়ে গেল।

পাঠকের মতামত: