হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :::
দূর-দুরান্ত থেকে হাজারো নবীন-প্রবীণ প্রাণ এসে মিলিত হয়েছে একজায়গায়। আনন্দ-উল্লাস, হৈ-হুল্লোড় মুখরিত হয়ে উঠেছে চারপাশ। দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধুকে দেখে হৃদয়ের সবটুকু নির্যাস ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরছে একে-অপরকে। এ যেন স্মৃতির কলেজে আনন্দের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। বলছে, বড় আনন্দের ছিলা সেইসব দিনগুলি। আহ! আবার যদি পেতাম ফিরে।
শনিবার (৪ফেব্রুয়ারি) এ দৃশ্য দেখা যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম.এ.কালাম ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে। কলেজের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘গৌরবের অতীতের উপর গড়ি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত’ স্লোগানে বর্ণিল আবহে দিনব্যাপী পূর্তি উৎসবের আয়োজন করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বান্দরবান এবং কক্সবাজারের শীর্ষনেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ অংশ গ্রহণ করায় অনুষ্ঠান আরো অলোকময় হয়ে উঠেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন- দেখতে দেখতে হাজী এম এ কালাম ডিগ্রি কলেজ ২০ বছর পেরিয়ে গেল। আগামীতে এ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ও অনার্স-মাষ্টার্স চালু করা হবে। এতদূর আসার পেছনে যিনি প্রথমে এগিয়ে এসেছেন হাজী এম এ কালাম, যেসব শিক্ষক শ্রম দিয়েছেন তাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন-আগামীতে শিক্ষার্থীদের মেধা দিয়েই যুদ্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র এ প্লাস সার্টিফিকেট নিয়ে সেখানে টিকতে পারবা না। চলে যাওয়া সময় ফিরে আসবেনা। শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক এ তিনে মিলে যদি সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়ে মানুষ হবে।
বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা তাঁর বক্তব্যে বলেন- ২০০০ সনের পূর্ব থেকে হাজী এম এ কালাম কলেজের সাথে আমি জড়িত। সে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যখন পেরেছি উন্নয়নে সহযোগিতা করেছি। এ প্রাণপ্রিয় কলেজ থেকে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে সারাদেশে। আগামীতে কলেজের আরো বেশি সফলতা বয়ে আনার জন্য অভিভাবক, শিক্ষকদের নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান, কাজল কান্তি দাশ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সরওয়ার কামাল, লামা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম.এ.কালাম ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল।
সভাপতির বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ ও.আ.ম রফিকুল ইসলাম বলেন-পশ্চাদপদ এ জনপদে যখন শিক্ষার আলো নিভে যাচ্ছিল। উচ্চ শিক্ষার যখন কোন ব্যবস্থা ছিলনা ঠিক সেই মুহুর্তে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তাঁর সহযাত্রীদের মাধ্যমে কলেজ স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। রক্তের কোন আত্মীয় সম্পর্ক না থাকার পরও কলেজ স্থাপনের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন হাজী এম এ কালাম। সেই থেকে শুরু হয় কলেজের পথচলা। কলেজ উন্নয়নে দায়িত্ব নেন বীর বাহাদুর উ%B
পাঠকের মতামত: