পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচনে আপন দু’সহোদর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। আগামী ৩১মার্চ অনুষ্টিত নির্বাচনে ওই দু’ভাই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এনিয়ে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনেকটা উৎসব মুখর হয়েছে। এদের মধ্যে নুরুল আবছার বদু বিএনপি থেকে মনোনয়ন এক প্রকার পেয়ে গিয়েছিলেন। চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তাকে দলের হাই কমান্ড বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী ঘোষনা না করে এ ইউনিয়নে দলটি চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়র হোছাইন সিকদারকে। অপরদিকে একই ইউনিয়নে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে নুরুল আবছার বদুর আপন বড় ভাই ছৈয়দ নুর ’বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। তারা দু’ভাইয়ের মধ্যে নুরুল আবছার বদু বিএনপি’র ’বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে তত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই পরিবারে আপন দু’ভাই প্রার্থী হওয়ায় তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংকে দ্বিধাদ্বন্ধ তৈরি হয়েছে। খোদ পরিবার দু’ভাইয়ের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা নিয়ে বিভক্ত হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে এক ভাইকে প্রার্থী করতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু ভোটের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। রাজাখালী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আসীন হতে আপন দু’ভাই দু’মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। মিটিং মিছিলে দু’ভাইয়ের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ইতিমধ্যে কয়েক দফা মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। দু’ভাইয়ের অর্ন্তদ্বন্ধ ও প্রকাশ্যে হাঁকাবকা উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনাকে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যেকোন মুহুর্তে সহিংসতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে মোড় নিচ্ছে রাজাখালী। ইউপি নির্বাচনে দু’ভাইয়ের মধ্যে মারাত্মক ¯œায়ু বিরোধ কলহ তৈরি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে পশ্চিম রাজাখালী বখশিয়াঘোনা ও সুন্দরী পাড়া এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছৈয়দ নুর ও বদুর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা হয়েছে। এসময় আধিপাত্যের জের ধরে দু’পক্ষের স্বশস্ত্র লোকজন এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। জানাগেছে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আবছার বদু টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। অপরদিকে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছৈযদ নুর আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। গত ইউপি নির্বাচনে ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ওই নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ট ভোটও পেয়েছিলেন। তবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল। ইউপি নির্বাচনে রাজাখালী ইউনিয়নে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার আজমগীর চৌধুরী। তার নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। আনোয়ার হোছাইন সিকদার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন। তবে ভোটের পরিসংখ্যান রাজাখালী ইউনিয়নে এখনো অমিমাংসিত। দলীয় প্রতীকের দু’প্রার্থীর মধ্যে মুল লড়াই হওয়ার পুর্বাভাস দিয়েছেন সাধারন ভোটাররা। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী ছৈয়দ নুর ও বদুর প্রচার প্রচারনাতেও ভোটাররা সম্পৃক্ত হচ্ছেন। শেষ মুহুর্তে সব হিসেব নিকেশ পাল্টিয়েও যেতে পারে। ওই ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন সাহাব উদ্দিন। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। এছাড়া জামায়াত নেতা হুমায়ন কবির চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
পাঠকের মতামত: