পেকুয়ায় টাকা ও ষ্ট্যাম্প ফেরত নিতে ভুক্তভোগিরা ভিড় করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের বাড়িতে। সরকারি ঘর দেয়ার নামে রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর তার ইউনিয়ন থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। প্রায় দেড় হাজারের অধিক লোকের কাছ থেকে ঘর দেয়ার কথা বলে ওই টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন ওই চেয়ারম্যান। অনুগত ১০-১২জন দালালের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর প্রত্যেক জনের কাছ থেকে নগদ ৫হাজার ২শত টাকা ও একটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প নেয়। সরকার প্রত্যেক জনকে গৃহ নির্মান সহায়তার জন্য তিন লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে ওই কথা ব্যাপকভাবে প্রচার করে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। মাত্র ২-৩দিনের ব্যবধানে গোপনে এ বিপুল অংকের টাকা গেছে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের পকেটে। এদিকে পুর্নবাসন সহয়তার জন্য পেকুয়ায় তৈরি হচ্ছে তালিকা চেয়ারম্যান হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা এ সংবাদ সম্প্রতি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পেকুয়ার ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান এ তালিকা প্রস্তুতে কোন ধরনের লেনদেন না করতে রাজাখালীসহ পেকুয়ার সব ইউনিয়নে মাইকিং করে। সংবাদ প্রকাশের পর সরকারের গৃহনির্মান সহায়তার বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তৈরি হয় সচেতনতা। এর প্রেক্ষিতে রাজাখালী ইউনিয়নে যেসব লোকজন দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন তারা টাকা ও ষ্ট্যাম্প ফেরত নিতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। টাকা ও স্ট্যাম্প ফেরত নিতে গত দু’দিন ধরে প্রতারিত ভিড় করছেন ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে। স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন গত দু’দিন ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কাছে ছুটা ছুটি করছন ভুক্তভোগিরা। তারা টাকা ফেরত নিতে চেয়ারম্যানের বদিউদ্দিন পাড়াস্থ নিজ বাড়ি ও ইউপি কার্যালয়ে ছুটছেন। স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে গোপনে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের সাথে তার পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মত বিরোধ চলছে। জনপ্রতিনিধিদের না জানিয়ে চেয়ার¤্রানের অনুগত লোকদের মাধ্যমে টাকা আদায়ের এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইউপি সদস্যরা। তারা চেয়ারম্যানের সাথে তাদের দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করেছে। ইতিমধ্যে অনেক সদস্য ইউপি কার্যালয়ে যাতায়ত বন্ধ করে দিয়েছে। এদের মধ্যে দু’একজন ইউপি সদস্যের সাথে চেয়ারম্যানের বাকবিতন্ডা হয়েছে। ওই ঘটনা যেকোন মুর্হুতে সংঘাতে মোড় নিতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: