নিউজ ডেস্ক :: সূরা আত-ত্বীনের প্রথম শব্দ ত্বীন অনুসারে সূরাটির নামকরণ হয়। ত্বীনের বাংলা অর্থ আঞ্জীর, যা এক ধরনের ডুমুর ফল। মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরি ফসল।
আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য। তবে শখের বসে খুলনার মাটিতে একটি ত্বীন গাছ মিশর থেকে এনে লাগানো হয়। সেই গাছটি সবলভাবে বেড়ে উঠছে এমনকি ফলও ধরেছে।
খুলনার বটিয়াঘাটার জলমার দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স পরিচালিত সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙ্গিনায় ২০১১ সালে সোসাইটি অব সোস্যাল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল সার্পোট কুয়েতের প্রাক্তন মহাপরিচালক আবু মুহাম্মদ আসসাওয়াদফি আল ফিকাহ মিশর থেকে এই গাছটি আনেন। গাছটি রোপণ করেন দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর পরিচালক সুফি সালাইমান মাসদ।দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানোয়ার হুসাইন বলেন, খুলনার আবহাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই গাছটি অন্যান্য গাছের মতোই বেড়ে উঠেছে। গাছটিতেও ফলও ধরেছে। গাছটির ফল আমি খেয়েছি। এটি অনেক সুস্বাদু।
সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, পবিত্র কুরআনে বর্ণিত সূরা ত্বীনে বর্ণিত সেই ত্বীন গাছটি এ স্কুলে থাকায় অনেকে এটি দেখতে আসেন। বিশেষ করে যখন ফল ধরে তখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গাছটির প্রতি বেশি আগ্রহ থাকে। এছাড়া অনেক দর্শনার্থী গাছটির খবর পেয়ে দেখতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হয়েছিল মরুভূমির এই গাছ বাংলাদেশের মাটিতে টিকবে না। কিন্তু সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে আট বছরে বেশ দ্রুত গতিতেই গাছটি বেড়ে উঠেছে।
পাঠকের মতামত: