মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
লামায় নানা কর্তৃক ১৫ বছরের নাতনি ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ষিতার মা। এই ঘটনায় স্থানীয় শালিসদাররা মেয়ে সংঘমের মূল্য ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করে। লামা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম রাজবাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। অপরদিকে ধর্ষক প্রতিনিয়ত মেয়ের পরিবারকে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানায় মেয়ের নানী।
ধর্ষিতার নানী বলেন, ধর্ষক মোঃ সাদেক (৫৫) আমাকে ধর্মের বোন ডাকে। তাই প্রায় সে আমাদের বাড়িতে আসত। আমার মেয়ের জামাই নাই। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। বর্তমানে সে একজন নব মুসলিমকে বিয়ে করেছে। আমি আমার মেয়ে সারাদিন কাজকর্ম শেষে সন্ধ্যায় বাজারে যাই। সন্ধ্যা থেকে বাড়ি ফাঁকা থাকে।
ধর্ষিতা নিজেই এপ্রতিবেদককে বলেন, মাস দুয়েক আগে তার নানীর ধর্মের ভাই সাদেক নানা রাতে এসে তাকে ধর্ষন করে। সাদেক তাকে আরো তিনবার ধর্ষন করেছে। গত দু’মাস তার মাসিক ঋতু¯্রাব বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি সে তার মাকে জানায়। এবিষয়ে ধর্ষককে জিজ্ঞাসা করলে সাদেক নানান লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী ৪নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়ার তুলসী নামক এক মহিলার কাছে নিয়ে বনাজি ওষুধ দিয়ে গর্ভে অনাগত সন্তানটি নষ্ট করে। বনাজি ওষুধ ব্যবহার করায় ৮/১০ দিন তার প্রচন্ড পেট ব্যাথা ও রক্তপাত হয়।
ধর্ষিতার মা জানায়, এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গত ৭ জানুয়ারী শনিবার রাতে পশ্চিম রাজবাড়ী মসজিদের সামনে জনৈক আলমগীরের বাড়িতে বৈঠকে বসে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শালিসদার মানিক মোল্লা, মোঃ কাশেম, আলী আশরাফ, আব্দু সালাম, বাইট্টা দুলাল, মোহাম্মদ হোচন ও জোৎ¯œা েেবগম সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়। মেয়েটির ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে আপোষনামা হয় বলে জানায় বৈঠকের উপস্থিত বিচারক আলী আশরাফ এবং উক্ত আপোষনামার কাগজটি তার কাছে আছে বলে তিনি এপ্রতিবেদকে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, ধর্ষক গত ৯ জানুয়ারী সোমবার ১০ হাজার টাকা মেয়ের অভিভাবকের হাতে দিয়েছে আর বাকী ১০ হাজার টাকা ১৬ জানুয়ারী সোমবার দেয়ার কথা আছে।
৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দু সালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয়পক্ষের গরীব বলে তাদের মতামতে স্থানীয় সমাধান করা হয়েছে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা জানিনা। কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পাঠকের মতামত: