ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত ১

hati_1নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ::

আশারতলীর সীমান্তবাসীদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে বন্যহাতির তাণ্ডবের আতঙ্কে। বেশ কয়েক দফা সীমান্তের লোকালয়ের কাছাকাছি বন্যহাতি অবস্থান করছে। রাতের বেলায় এসব হাতি রবার বাগানে এবং লোকালয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে আশারতী পুরাতন বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।নিহতের নাম মোঃ হাছান আলী (৫৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আক্কেল আলীর পুত্র।
নিহতের ছেলে মো: শফি জানান- গত বৃহস্পতিবার পানের বরজের জন্য খুটি আনতে গিয়ে নিখোজ ছিল তাঁর বাবা। শনিবার সকালে কাঠুরিয়ারা পাহাড়ে তার বাবার লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। বন্য হাতির আক্রমনে হাসন আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো: হাসন।

ইউপি সদস্য মোঃ আলী হোসেন বলেন, এসব এলাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভূখন্ডে রয়েছে বিশাল বনভূমি। বাংলাদেশের বনাঞ্চল অপেক্ষাকৃত সমতল। মিয়ানমারে গহীন বনাঞ্চল রয়েছে অগনিত বুনো হাতি। হাতি দল বেঁধে সমতল ভূমিতে চলাফেরা ও আহার করতে সহজ মনে করে থাকে। তাই সময় অসময়ে বুনো হাতির পাল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওইসব সমতল বনাঞ্চলের আবাসিক ও কৃষিপ্রধান এলাকায় চলে আসে। পাহাড়ে বসবাসরত বাড়িঘর ফসলাদি জমি ও বিভিন্ন বাগানে প্রবেশ করে ধ্বংসলীলা চালায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম তৌহিদ কবির জানান- বন্য হাতির আক্রমণে মো: হাসন আলীর মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য উপজেলার আশারতলী সীমান্তের জারুলিয়াছড়ি গ্রামে চলতি বছরে (১৭ ফেব্রয়ারি) ভোর রাত সাড়ে ৩টায় বন্য হাতির আক্রমণে ১ জন গুরুত্বর আহত হয় একি গ্রামের জালাল আহম্মেদের ছেলে শামশুল আলম (৩৫) । বর্তমান একেবারে পঙ্গু হয়ে কষ্টে দিন যাপন করছেন।

পাঠকের মতামত: