ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দোহাজারী-গুনদুম অর্থায়ন নিশ্চিত, দরপত্র মূল্যায়নের পর কাজ শুরু

rel duha-coxদোহাজারী-গুনদুম ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শিগগির শুরু করতে চায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়ন নিশ্চিত হয়েছে। চলতি মাসে ঋণ চুক্তি হতে পারে। ২০২২ সালের মধ্যে রেলপথটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্পের নকশাও চূড়ান্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রকল্পের ১০০ কিলোমিটার রেললাইন তৈরি করতে দুটি ভাগে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডারে পাঁচটি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বর্তমানে দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। মূল্যায়নের পর ঠিকাদার নিয়োগ হবে। এরপরই শুরু হবে প্রকল্পের কাজ। খবর বাংলানিউজের। সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করতে দুট লটে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। প্রথম লটে পাঁচটি এবং দ্বিতীয় লটে চারটি টেন্ডার জমা পড়েছে। প্রথম লটে কোরিয়া-চায়না জেভি, বাংলাদেশ-চায়না জেভি, ভারত, স্পেন ও চায়না টেন্ডারে অংশ নেয়। দ্বিতীয় লটে অংশ নিয়েছে কোরিয়া-চায়না জেভি, বাংলাদেশ চায়না জেভি, স্পেন ও চায়না। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজার-গুনদুম রেললাইন প্রকল্প সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের অন্যতম। কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে এডিবির অর্থায়ন নিশ্চিত। দরপত্রের টেকনিক্যাল মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন শেষে আবারও এডিবিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে মূল্যের প্রস্তাব খুলে ফের এডিবিতে পাঠানো হবে। তারপর মন্ত্রণালয় হয়ে চূড়ান্ত করতে কেবিনেটে যাবে। ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলায় ৩ নম্বর নোটিশ জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে জারি হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতে শিগগির জারি করা হবে। প্রকল্পের ডিপিপি সূত্রে জানা গেছে, ১২৯ দশমিক ৫৮৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪৪ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ হবে রামু থেকে মায়ানমারের গুনদুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭৫২ কিলোমিটার রেলপথ।

পাঠকের মতামত: