ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

তামাক কম্পানির প্রলোভন সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বান

210245Health-2নিউজ ডেস্ক ::

ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের প্রধান উৎস তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য। তাই সুস্থ মানব সম্পদের জন্য তামাক বর্জন করতে হবে। তামাক কম্পানিগুলোর প্রলোভন এড়িয়ে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা এই আহ্বান জানান।

রাজধানীর রায়ের বাজারে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট মিলনায়তনে ‘নীতি প্রণয়নে তামাক কম্পানির প্রভাব প্রতিহত করতে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট। প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক নিখিল ভদ্রের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ইপসা’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হায়দার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারি মুক্তি, প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট-এর পরিচালক সাকিলা রুমা প্রমূখ। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অন্যন্যা রহমানে উপস্থাপনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাহমিদা ইসলাম।

সভায় সৈয়দ মহবুবুল আলম বলেন, অতীতে দেখা গেছে তামাক কম্পানিগুলো মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রণীত নীতিসমুহ প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে। বর্তমানে সিগারেটের গায়ে সচিত্র সর্তকবাণীর ক্ষেত্রে কম্পানিগুলো অপকৌশলের মাধ্যমে আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। আইন অনুসারে জর্দ্দা, গুলা, বিড়িসহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সর্তকবাণী এখনো প্রদান করা হয়নি। সরকারকে আইনের এ বিধান বাস্তবায়নে আরো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, জনস্বাস্থ উন্নয়ন নীতিসমুহ তামাক কম্পানির প্রভাবমুক্ত রাখতে তামাক কম্পানি ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আলোচনার স্বচ্ছতার প্রয়োজনে রয়েছে। যা এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব।

রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, তামাকজাত পণ্যের প্রসারে তামাক কম্পানিগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে বিভিন্ন প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তারা যৌথভাবে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি আটিকেল ৫.৩-র লঙ্ঘন।

সভায় উত্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধন ও বিধিমালা প্রণয়ন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আইন ও বিধিমালার আলোকে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তামাক কম্পানিগুলো নানা কূটকৌশলে বিজ্ঞাপন ও আইন সম্পর্কে ভ্রান্ত প্রচার চালাচ্ছে। তারা কর বৃদ্ধি সম্পর্কে অপপ্রচারসহ উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও তামাক কম্পানিগুলো বিভিন্ন কুটকৌশলে নীতি নির্ধারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করছে।

আরো বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কনট্রোল (এফসিটিসি)-এর আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩-এ তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে তামাক কম্পানির প্রভাবমুক্ত রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর, র‌্যাটিফাই ও চুক্তির বিভিন্ন ধারা অনুসারে আইন সংশোধন করেছে। তাই এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

– See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2016/04/07/344980#sthash.MsPsLXrb.dpuf

পাঠকের মতামত: