বোন কে নির্যাতনের যন্ত্রনা সইতে না পেরে প্রতিশোধ নিতে দুলভাই অঞ্জন ধর (৩৫) কে গলাকেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে রাখার কথা স্বীকার করেছে শ্যালক বাবুল ধর (২২)। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় টেরী বাজার আফিম গলির নেপাল বাবুর ভবনের ৫ম তলার বাসা থেকে বস্তাবন্দি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী অঞ্জন ধরের বস্তাভর্তি পাঁচাগলা লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আটক শ্যালক এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন।
এর পরপরই পুলিশ অঞ্জন ধরের স্ত্রী প্রিয়াংকা ও শ্যালক বাবুল ধরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ আব্যাহত রেখেছে। কোতোয়ালী থানার এসআই সুমিত বডুয়া বলেন সকালে বাবুল নামে এ যুবক থানায় এসে জানায় সে তার ভগ্নিপতিকে হত্যার পর লাশ বস্তা ভরে রেখেছে। তার কথায় প্রথমে আমরা বিশ্বাস করিনি। পরে আমাদের সন্দেহ হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বস্তাবন্দি লাশ পড়ে আছে।
পরে আমরা বাবুল ধরের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে নগরীর মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করি। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, অঞ্জন ধর এবং তাঁর শ্যালক বাবুল ধর নগরীর হাজারি গলির একটি স্বণের দোকানে চাকুরী করতো। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী প্রিয়াংকাকে প্রায়ই সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও অঞ্জন ধর পরকিয়াতেও আশক্ত ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে আটক বাবুল।
পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা মতে বোন প্রিয়াংকার প্ররলোচনায় বাবুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময় অঞ্জনের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না বলে জানা গেছে। এবং কয়েকদিন আগেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যার ফলে লাশটি পঁচে হলে গিয়ে দুর্গন্ধ রেরিয়ে পড়ে। নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, বোনকে কৌশলে বাসা থেকে সরিয়ে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বাবুল। তবে হত্যাকান্ডটি রবিবার সকালের দিকে সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়ে বাবুল ধর। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর হত্যাকারি নিজেই পুলিশকে এ বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন।এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মামলার পরিদর্শক সুমিত। তিনি বলেন নিহত অঞ্জনের স্ত্রী প্রিয়াংকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: