ঢাকা,সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় স্কুলের শহীদ মিনার নির্মাণে বাধা ও হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বাঁধা পরবর্তী কয়েকদফা হামলা ও সংর্ঘষের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। ঘটনার দুইদিন পর চকরিয়া থানায় ৬জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন হামলায় আহত আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আবছার সওদাগরের বোনের ছেলে স্থানীয় লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার। গত বুধবার বুধবার (৭ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে ইউনিয়নের আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘটেছে হামলার ঘটনা।

মামলার বাদি লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার বলেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের প্রস্তুতি নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সকালে শহীদ মিনারটি নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরিজ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আকতার ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, উদ্বোধনি অনুষ্ঠানের শুরতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন স্থানীয় আইয়ুব মো ইকবাল এবং আবুল কালাম মেম্বার গং। ওইসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের কাছ থেকে বাঁধার কারন জানতে চান। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। উভয়পক্ষের বৈঠকের পর ইউএনও স্যারের সিদ্বান্তে প্রথমে বাঁধাদানকারী পক্ষ রাজি হলেও পরে কোন জায়গায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা যাবেনা বলে হুমকি দেয়।

ওইসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিদ্যালয়ের জমিদাতা পক্ষের প্রতিনিধি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার সওদাগর প্রতিবাদ করেন। এরই জেরে বাঁধাদানকারী পক্ষের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে নুরুল আবছার সওদাগর ও তাঁর ছেলে নুরুল আজিমের উপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলায় বাবা-ছেলে দুইজনকে গুরুতর জখম করে।

ঘটনার পরপর গুরুতর আহত অবস্থায় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আবছার সওদাগরকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ছেলে নুরুল আজিমের শাররীক অবস্থা অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ##

পাঠকের মতামত: