জানাগেছে, রিজার্ভ পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন বনভূমি দখলে থাকা উত্তর হারবাং ৯নং ওয়ার্ড (ইসলাম ট্রেনিংয়ের পূর্বপাশ্বে) মৃত ফরিদুল আলমের পুত্র মোঃ আবদুল জব্বার। তাকে প্রতি গাড়ীতে টাকা দিয়ে স্কাভেটার দিয়ে মাটি কেটে ডাম্পার ভর্তি করে পাশ্ববর্তী ইছাছড়ি নামক সড়ক লাগোয়া সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে ভরাট করছেন। গত দুইদিন ধরে প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে পাহাড় কাটা ও ভরাট করা হয়।
অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চকরিয়াতে মাটি-বালুর কোনো ব্যবসা নাই,আমি উক্ত পাহাড় কাটার সাথে সম্পৃক্ত নয়।
বনবিভাগের চট্টগ্রাম দক্ষিণের আওতাধীন চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, হারবাং বনবিটের অধীন কোন পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসের তথ্য পাওয়া গেলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ ও বনআইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া উপবিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী মোঃ দিদারুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভাগের জমি দখলে নেয়ার সুযোগ নেই। মাটি ভরাট ও স্থাপনা স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও তা অতিশীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ সহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এরফান উদ্দিন জানান, রিজার্ভ পাহাড় কেটে মাটি লুট ও সড়ক বিভাগের সরকারি খাস জমি জবর দখলে নেয়ার সুযোগ নেই। এ কাজে জড়িত যেই হোক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বন বিভাগ ও সড়ক বিভাগ সহায়তা চাইলে যৌথ অভিযান চালানো হবে।
পাঠকের মতামত: