নিউজ ডেস্ক ::
মাদক সাম্রাজ্য বলে খ্যাত কক্সবাজার এখন মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য আতঙ্কের নগরী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জোরদার হওয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই এখন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ শুরু করেছেন। তবে সচেতন মহলের দাবি, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অর্জিত অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি তাদেরকে আইনের আওতায় আনার। পুলিশ বলছে, আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইয়াবার বিস্তার কমে আসবে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নাফ নদী অনেকটাই অরক্ষিত। এই সুযোগে বিজিবি, কোস্টগার্ড দায়িত্বে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে মরণ নেশা ইয়াবা। যা ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে।
কিন্তু সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়ার পর মাদকের প্রবেশদ্বার টেকনাফে জোরদার করা হয় মাদক বিরোধী অভিযান। অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধ ও নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে গত ৩ মাসে মারা গেছে এ পর্যন্ত ৪৫ জন। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় আসে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘ইয়াবা পাচার, ইয়াবা ব্যবসা কমে যাবে। অন্যদিকে এই যুব সমাজের যে মহামারী এবং ইয়াবা সেবনের ধারাবাহিকতা কমবে।’
তবে মাদক ব্যবসা করে অবৈধ সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি সচেতন মহলের।
পিপলস ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘শত শত কোটি টাকা যেগুলো উপার্জন করেছেন সে টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’
আর জেলা পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা জানালেন, মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইয়াবার বিস্তার অনেকাংশ কমে আসবে।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘গড ফাডারসহ পৃষ্ঠপোষক এবং যারা সরাসরি যুক্ত আছেন তাদের নামের তালিকা রয়েছে। আত্মসমর্পণ করে ভবিষ্যতে তারা যদি এই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকে তাহলে এটা অনেক অগ্রগতি।’
গত এক বছরে কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ২ হাজার ৩শ ৭১ জন এবং উদ্ধার হয়েছে দেড় কোটিরও বেশী ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৮২৪ টি।
সুত্র: সময় টিভি
পাঠকের মতামত: