সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি ::
গহিন বন থেকে চোরাইকৃত দুটি গরুর মাথা পা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ১ জুন সকালে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া ঢালা থেকে গরুর দুটি মাথা ও ৮ টি পা উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। চোরাইকৃত গরুর মালিক বর্ণিত ইউনিয়নের জয়নগর পাড়ার শহর মুল্লুকের পুত্র জাফর আলম মিস্ত্রি ও হোছন আলীর পুত্র কালা মিয়ার বলে জানা গেছে। গরু দুটির আনুমানিক মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা হবে বলে মালিক সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোছন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গরু দুটিকে গহিন বনে চড়ানোর জন্য গত মঙ্গলবার পাঠানো হয়। সেখান থেকে সংঘবদ্ধ গরু চোরাই সিন্ডিকেট গরু দুটিকে গহিন বন থেকে মেদাকচ্ছপিয়া ঢালায় নিয়ে গিয়ে রাতে জবাই করে মাংসগুলো লুট করে নিয়ে যায়। ফেলে যায় গরুর মাথা ও পা। খবর পেয়ে গরুর মালিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথা পা উদ্ধার করে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ গরু চোর সিন্ডিকেট ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাঘ ও সিংহসহ বিভিন্ন প্রাণীদের খাবার হিসেবে মাংস সরবারহ করেন। সাফারি পার্কে বাঘ-সিংহের খাদ্য হিসেবে গরু-মহিষের মাংশ সরবরাহ নিষেধ থাকার পর কৌশলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ এসব করা হচ্ছে। নিযোগকৃত ঠিকাদাররা সাথে কম দামে মাংস কিনে নেয় উপজেলার বিভিন্ন গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেটের কাছ থেকে। তা ঠিকাদাররা পার্কে সরবারহ করে। সাফারি পার্কের ঠিকাদাররা কম দামে মাংস পাওয়ায় চকরিয়ার বিভিন্ন গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে গোপন আতাঁত। চকরিয়ার গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়াসহ পাশ^বর্তী উপজেলা থেকে গরু-মহিষ চুরি করে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বাঘ ও সিংহের খাবার হিসেবে সরবারহ করে আসছে।
পাঠকের মতামত: