ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ককসবাজারে ক্যাব যুব গ্রুপ গঠনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: তরুন জনগোষ্ঠি, আজকে যারা ছাত্র ও যুব, আগামিতে তারাই পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ন দেশের দায়িত্বভার নিবে। কিন্তু তারা যদি সমাজে চলমান অনিয়ম, ভোগান্তি, প্রতারনা ও সমস্যাগুলি সম্পর্কে সম্যক অবহিত না হয়, তাহলে পেশাগত জীবনে অথবা ব্যক্তিগত জীবনে এই সমসস্যাগুলি থেকে উত্তরণের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়বে। তাই দেশের তরুন জনগোষ্ঠিকে দেশ ও জাতিগঠনমুলক স্বেচ্ছাসেবী সমাজ পরিবর্তন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা জরুরি। তারই অংশ হিসাবে ভোক্তা অধিকার, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী প্রচারনা কর্মকান্ডে তরুন জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যয়নরত ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে ককসবাজারে ক্যাব যুব গ্রুপ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২২ইং পর্যটন শহর ককসবাজারে একটি অভিজাত হোটেল মিলনায়তনে এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ককসবাজার জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দীন সিদ্দীকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব জেলা কমিটির যগ্ন  সম্পাদক ও খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সরোয়ার আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন মানবাধিকার কর্মী দেলুয়ার হোসেন চৌধুরী, ছাত্রদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল সিফাত, শাকিল হোসাইন, মেহাম্মদ আরাফাত ও আনসারুল করিম প্রমুখ।

সভায় বলা হয় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে সবকটি আন্দোলনে তরুন সমাজ নেতৃত্ব প্রদান করলেও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে তরুনদেরকে ব্যবহার করে একটি গোষ্টি নিজেদের ফায়দা হাসিলের কারনে তরুন সমাজ বিভ্রান্ত হয়ে দেশে ও জাতি গঠনমুলক কাজ থেকে বিমুখ হয়ে আছে। সেকারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাড়া মহল্লায় এখন আর সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চর্চা ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ গুলি বিকশিত হচ্ছে না। যার কারনে তরুনরা বিপথগামী হচ্ছে। অন্যদিকে কর্পোরেট সংস্কৃতির আগ্রাসনে পড়াশুনা শেষ না করতেই তরুনদের নানা লোভনীয় অফার দিয়ে খন্ডকালীন চাকুরী দেয়া হলেও পরক্ষণে তার জবনিকা ঘটে। পরবর্তীতে এর সর্বশেষ পরিনতি হয় অকালে সম্ভাবনাময় অনেক জীবন নস্ট হয়ে যায়। তাই পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা উন্নয়নে প্রযোজনীয় জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই।

সভায় আরও বলা হয় ককসবাজার দেশের পর্যটন রাজধানী। সরকারের সংস্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রথম দায়িত্ব হলো এখানে পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু শহরে প্রবেশ করা মাত্রই পর্যটকরা নিরাপত্তা, গণপরিবহন, আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টসহ সৈকতে নানা বিঢম্বনার শিকার হচ্ছে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। শহরটি পর্যটক বান্ধব, ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলন রচনায় বর্তমান প্রজন্মের তরুনদের নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। সেকারনেই ককসবাজারে ক্যাব যুব গ্রুপ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা অতি অল্প সময়ে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

পাঠকের মতামত: