নিজস্ব প্রতিবেদক :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত রাখার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার সকালে অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে রিট আবেদন করেন।
বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে রবিবার যেকোনো সময় রিটটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ আরো চারজনকে এই রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইউনুস আলী আকন্দ জাতীয় সংসদ না ভেঙে তফসিল ঘোষণা করায় এটিকে অবৈধ এবং একই সঙ্গে এই ইস্যু নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন ব্যবস্থা স্থগিত রাখার জন্য একটি রুল জারির আবেদন করেছেন।
রিট আবেদনকারী বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন, যদি তিনি প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কাজে কোনো লাভের অধিকারী হন।
সংবিধান অনুযায়ী, যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, তারা কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। কিন্তু বর্তমান সংসদের মন্ত্রী ও সাংসদরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন এবং তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন, যা সংবিধানবিরোধী।
এ ছাড়া সংসদ না ভেঙে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনের পর দুটি সংসদ থাকবে এবং সংসদের সদস্য সংখ্যা হবে ৬০০। কিন্তু সংবিধানের ৬৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের সংখ্যা ৩০০ হবে,’ বলে মন্তব্য করেন ইউনুস আলী আকন্দ।
এ ছাড়া রিটকারী এই আইনজীবী বলেন, সংবিধানের ১২৩ ধারা অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠকের মতামত: