ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা এগিয়ে যাব: প্রধানমন্ত্রী

image_151670_0নিজস্ব প্রতিবেদক :::

ঢাকা: স্বাধীনতা দিবসে শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা এই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। সেই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। ছোট সোনামণিদের মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকব না। আমরা এগিয়ে যাব।

আজ শনিবার মহান স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সেখানে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দৃষ্টিনন্দন কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।
সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু দেশের মানুষকে তিনি আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। তার আহ্বানে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নেয়। যুদ্ধ করে।
শিশুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে আমাদের অবস্থান যাতে আরও সুদৃঢ় হয়, আত্মমর্যাদাশীল হয়, সেভাবে আমরা দেশকে গড়ব। তোমরা সোনামণিরাই নিজেদের গড়ে তুলবে। আজ তোমরা ছাত্রছাত্রী, কিন্তু আগামী দিনে তোমরাই কর্ণধার হবে। তোমরাই এ দেশ পরিচালনা করবে। তোমরাই তো আমাদের মতো মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হবে। তিনি শিশুদের পড়ালেখা, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা করে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
বর্তমান সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে এনেছি। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। বৃত্তি দিচ্ছি। আমরা এগিয়ে যাব। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্য আয়ের দেশ। ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ।
দেশবাসীকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে তিনি জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সকাল থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, তিন বাহিনীর প্রধান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঢাকায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ শীর্ষক তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার শেষ দিনের অনুষ্ঠান আজ শুরু হবে বিকেল সাড়ে চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে। শিশু একাডেমির আয়োজনে বেলা দুইটায় হবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে পাঁচটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী। গণফোরামের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং এরপর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা ও পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

পাঠকের মতামত: