ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আত্মসমর্পণের আগেই চণ্ডীগড়ে গ্রেপ্তার হানিপ্রীত

অনলাইন ডেস্ক ::hn

গত ৩৮ দিন সে ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সন। তাকে পুলিশ খুঁজেছে, মিডিয়া খুঁজেছে, এমনকী সাধারণ মানুষও খুঁজেছে। হানিপ্রীত ইনসান। ডেরা সচ্চা সওদা-র গুরু ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিমের তথাকথিত পালিতা কন্যা । এই নারীকে নিয়ে কথা-কল্পনা-সত্য-মিথ্যার যে জাল তৈরি হয়েছিল সিরসা ও পঞ্চকুলায়  তার অবসান ঘটে আজ মঙ্গলবার। মিডিয়ার তল্লাশেই খোঁজ মিলল তার।

২৮ অগস্ট রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পরেই পঞ্চকুলা ও সিরসায় বাবার চেলা-চামুণ্ডারা তুমুল তান্ডব চালায়। এই গোলযোগে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। এই হিংসার উৎস হিসেবে যে সব ব্যক্তির নাম-তালিকা তৈরি করে প্রস্তুত করে পুলিশ, তার শীর্ষনামটিই ছিল হানিপ্রীতের। সেই থেকে তার সন্ধান চলেছে দেশ জুড়ে। কখনও খবর এসেছে হানিপ্রীত নেপালে পালিয়ে গিয়েছে, কখনও বা জানা গিয়েছে সে হাতের কাছেই রয়েছে।

প্রশ্ন একটাই, কোথায় ছিল হানিপ্রীত এই ৩৮ দিন? দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব— তিন রাজ্যের পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ৩৮ দিন কাটিয়ে দিয়েছে সে। ২৫ অগস্ট থেকে ৩ অক্টোবর তার গতিবিধি সম্পর্কে বিশদ জানিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের মতে—

• ২৫ অগস্ট — বাবা রাম রহিমকে হেলিকপ্টারে করে পাঁচকুলা থেকে রোহতক জেলে নিয়ে আসা হয়। হানিপ্রীত বাবার সঙ্গেই ছিল।

• ২৬ অগস্ট—   হানিপ্রীত সিরসায় ডেরা দফতরে পৌঁছয় এবং ডেরা-প্রধান বিপাসনা ইনসানের সঙ্গে দেখা করে। সেই রাতে সে ডেরাতেই থাকে। ভোরে ডোরা থেকে সে বেরিয়ে যায়।

• ২৭ ও ২৮ অগস্ট—হানিপ্রীত রাজস্থানের হনুমানগড়ে তার দেওরের বাড়িতে পৌঁছয়। এই দু’দিন সে সেখানেই থাকে।

• ২৯ অগস্ট— পুলিশ হনুমানগড়ে হানা দিতে পারে জেনে সে সেখান থেকে পালায়।

• ৩০ অগস্ট— রাজস্থানের সাঙ্গারিয়ায় এক ডেরা-ভক্তের বাড়িতে আশ্রয় নেয় হানিপ্রীত।

• ২ সেপ্টেম্বর— খবর আসে, হানিপ্রীতকে উদয়পুরের এক শপিং মলে দেখা গিয়েছে। সেখানে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু তার নাগাল পাওয়া যায়নি।

• খবর ছড়ায়, হানিপ্রীত নেপালে পালিয়ে গিয়েছে। সেখানে ও সন্ধান চালানো হয়। কিন্তু হানিপ্রীতকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

• পরে পুলিশ হানিপ্রীতকে রাম রহিমের গ্রাম রাজস্থানের গুরুসর মোদিয়ায় দেখা গিয়েছে বলে জানায়।

• ২৫ সেপ্টেম্বর— দিল্লির লজপত নগর এলাকায় হানিপ্রীত তার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে। দু’ঘণ্টা তাদের কথা-বার্তা হয়। কিন্তু পুলিশ আইনজীবীর বাড়িতে পৌঁছয় ২ দিন পরে।

• গুরুগ্রাম অন্যান্য জায়গায় পুলিশ হানিপ্রীতের সন্ধান চালায়। কিন্তু প্রতিবারই সে শেষ মুহূর্তে পিছলে যায়।

• ৩ অক্টোবর— রহস্যময় ভাবে হানিপ্রীত মিডিয়ার সামনে উদিত হয়। এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে উঠে পড়ে লাগে। এবেলা।

পাঠকের মতামত: