ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আতিউররা ‘বলির পাঁঠা’: ড. মিজানুর

image_151119_0নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকা: রিজার্ভ চুরির ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দিতে গভর্নর আতিউর রহমানসহ কয়েকজনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে কিনা- সেই প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে সার্চ কমিটি হলেও নতুন গভর্নর নিয়োগ অর্থমন্ত্রীর ‘তাৎক্ষণিক’ ঘোষণারও সমালোচনা করেছেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে মিজানুর বলেন, “যে যেখানে যে অপরাধ করেছে সে প্রতিষ্ঠানের যিনি সর্বোচ্চ ব্যক্তি আছেন, তার দায়-দায়িত্ব তাকে নিতে হবে। কাউকে বলির পাঁঠা বানিয়ে সেখান থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার অবকাশ নেই।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আট কোটি ডলারের বেশি অর্থ ‘হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে’ লোপাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখায় চাপের মধ্যে মঙ্গলবার গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাত বছর ধরে ওই দায়িত্ব পালন করে আসা আতিউর রহমান।
এর পরপরই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুই ডেপুটি গভর্নরকে সরিয়ে দেয়ার কথা জানান এবং নতুন গভর্নর হিসেবে ফজলে কবিরের নাম ঘোষণা করেন।
মিজানুর বলেন, “শুধুমাত্র দু’একজন ব্যক্তিকে বলির পাঁঠা বানিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন বলে মনে করবেন না। একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে, তাকে আঘাত করবার জন্য যদি এতো বড় একটি ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে জাতি সেটা কখনো গ্রহণ করবে না।”
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নম্র, ভদ্র, শিক্ষিতদের কেউ’ দায়িত্ব নিয়ে চলে গেলেই অপরাধের বিচার শেষ হয়ে যায় না।
“একজন গভর্নর যখন চলে যান, তাৎক্ষণিকভাবে গভর্নর নিয়োজিত হয়ে যায়। কিন্তু ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে সার্চ কমিটি করা হয়। যিনি প্রধান (গভর্নর), তার নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি নেই, কিন্তু যারা ডেপুটি, তাদের নিয়োগে সার্চ কমিটি।
“এর উদ্দেশ্য কী? এর পেছনে কী কারণ আছে? সে কারণ সম্পর্কে জাতি জানতে চায়,” বলেন মিজানুর।
দেশজুড়ে শিশু হত্যা বন্ধের দাবিতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত এক মানববন্ধনে কথা বলছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

 ‘বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে হল-মার্কের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী মুহিতের পুরনো এক বক্তব্য ফিরিয়ে আনেন মিজানুর। “যদি দেখা যায় ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেলেও এটা ‘তেমন কিছু নয়’ বলা হয়, একটি ব্যাংকে লালবাতি জ্বললো- তখন যদি ‘তেমন কিছু নয়’ বলা হয়…“সমাজে অনেক বড় ধরনের অপরাধ করেও কিছু হয় না…। কিন্তু ভদ্র, নম্র একজন সৎ মানুষকে চলে যেতে হয়, তখন সেটা বিচারের নামে প্রহসনে পরিণত হয়। সে বিচার কাজে রাষ্ট্র কোনোভাবে সন্তুষ্ট হয় বলে আমার মনে হয় না।”

এই মানববন্ধন থেকে শিশু হত্যা-নির্যাতন বন্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানায় কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে খেলাঘরের চেয়ারপারসন ড. মাহফুজা খানম, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সাগর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লায়লা হাসান বক্তব্য দেন।

পাঠকের মতামত: